একে আজাদ: নজমুল হুদা মিন্টু। চলচ্চিত্র পরিচালক। একজন সংগঠনপ্রিয় মানুষ। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি’র সংগে ওতপ্রোতভাবে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন আজীবন। চলচ্চিত্র পরিচালকদের কল্যাণে কাজ করে গেছেন নিরলসভাবে। চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টদের এবং চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি’র সবার প্রিয় মানুষ ছিলেন তিনি।
গুণী চলচ্চিত্র পরিচালক নজমুল হুদা মিন্টুর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০১৯ সালের ২ জুন, লন্ডনের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। গুণি এই চিত্রপরিচালকের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
নজমুল হুদা মিন্টু ১৯৪২ সালের ৫ ডিসেম্বর, নওগাঁ জেলার শান্তাহারে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৬৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মুস্তাফিজ পরিচালিত ‘তালাশ’ ছবির সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রের সাথে জড়িত হন তিনি।
নজমুল হুদা মিন্টু পরিচালিত চলচ্চিত্রের মধ্যে- সূর্য ওঠার আগে, চৌধুরী বাড়ি, ডাকপিয়ন, অনেক প্রেম অনেক জ্বালা, দিনের পর দিন, সংঘর্ষ, মধু মালতি, ঘরে বাইরে, বিধিলিপি, জবরদস্ত, মৌসুমি, ভন্ড প্রেমিক, অন্যতম।
নিরীহ ভালো মানুষ ও ভালো সংগঠক হিসেবে পরিচিত নজমুল হুদা মিন্টু একাধীকবার পরিচালক সমিতির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। কার্যকরী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন সফলভাবে। বেশ কয়েক বছরই তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন ।
নজমুল হুদা মিন্টু’র এক ছেলে নাদিম ও এক মেয়ে নুসরাত, তাঁরা স্থায়ীভাবে লন্ডনে বসবাস করেন। মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি লন্ডনে তাঁর ছেলে-মেয়ের কাছেই ছিলেন।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে, গুণি নির্মাতা নজমুল হুদা মিন্টু’র অবদান অনস্বীকার্য।