English

30 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
- Advertisement -

চিত্রনায়ক-প্রযোজক-পরিচালক রানা হামিদ-এর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

- Advertisements -

আজাদ আবুল কাশেম: চিত্রনায়ক-প্রযোজক-পরিচালক রানা হামিদ-এর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০২০ সালের ৯ মে, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। প্রয়াত এই অভিনেতা-প্রযোজক এর প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

নেত্রকোনা শহরে জন্ম নেয়া রানা হামিদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে ১৯৮৭ সালের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেরি সাইন্স বিভাগে ভর্তি হন। তিনি ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। আশির দশকে ‘বাসদ’ (মাহবুব) সমর্থিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (মান্না-আখতার)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং পরবর্তীতে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ ও ৯০-এর গণঅভূথানের অন্যতম ছাত্রনেতা ছিলেন তিনি।

সুদর্শন রানা হামিদ বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করে বাংলা চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও পরিচালনার সাথে জড়িত হন। তাঁর অভিনীত-প্রযোজিত ও পরিচালিত ছবিগুলো হলো- আলী আসমা, ক্ষমতাবান, সন্ত্রাসী রাজা, গ্যাং লিডার, আমার দেশ আমার প্রেম, টপ মাস্তান, বিলাত ফেরত মেয়ে, মাসুদ রানা এখন ঢাকায়, সবার ওপরে প্রেম, প্রভৃতি। তাঁর প্রযোজনা সংস্থার নাম ‘রানা চলচ্চিত্র’।

সরকার তাঁকে এফডিসি’র ডাইরেক্টর (টেকনিক্যাল) পদে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেবার পর সে আর কোন চলচ্চিত্র নির্মাণ করেননি। এ ছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্যও ছিলেন তিনি। রানা হামিদ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিরও একজন সদস্য ছিলেন। ছিলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সহকারী সাধারণ সম্পাদক। তিনি এক সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ছিলেন।

এফডিসি’র চুক্তিভিত্তিক চাকুরী শেষে, নিজ এলাকায় রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন রানা হামিদ। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগে, অবশেষে তিনি চলে যান না ফেরার দেশে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন