সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি মানেই ঝকঝকে লাস্যময়ী সব নায়িকা। গ্ল্যামার, আভিজাত্য ও বিপুল জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও আবেদনময়ীদের কেউ কেউ অন্ধকার জগতে পা বাড়ান। তারা আবার পুলিশের হাতে হয়েছেন গ্রেফতারও।
বিশেষ করে যে অভিনেত্রীরা আজও আলোচনায় আছেন, তাদের মধ্যে এখনো কেউ কেউ পর্দায় কাজ করে যাচ্ছেন। কেউ বা হারিয়ে গেছেন বিনোদন জগত থেকে। সামাজিক মাধ্যমে একাধিকবার আলোচনায় উঠে আসা এমন সাতজন অভিনেত্রী সম্পর্কে জেনে নিন, তাদের কর্মজীবনের পাশাপাশি অন্ধকারেও তারা কতটা তৎপর।
সায়রা বানু
বলিউড কিংবদন্তি অভিনেত্রী সায়রা বানু নন, তিনি দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির অভিনেত্রী সায়রা বানু। ২০১০ সালে দেহব্যবসা চালানোর অপরাধে গ্রেফতার হয়েছিলেন এ অভিনেত্রী। হায়দরাবাদ পুলিশ রেইড চালিয়ে কুন্দনবাগ এলাকা থেকে তাকে আটক করে। তার সঙ্গে ছিল জ্যোতি নামের আরও এক অভিনেত্রী যাকে হাতেনাতে ধরেছিল পুলিশ।
শার্লিন চোপড়া
বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াংকা চোপড়ার বোন কিংবা কোনো আত্মীয়স্বজন নয়। এ কয়েক বছর আগের অভিনেত্রী শার্লিন চোপড়া। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যৌনচক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার। বিষয়টি নিয়ে বিশেষ জলঘোলা হওয়ার আগেই পতিতাবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
শার্লিন চোপড়া বলেছিলেন, সিনেমার ডাক না এলে টাকা-পয়সা কোত্থেকে আসবে? আর এ পয়সার কারণেই আমাকে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে বেডরুম অবধি ছুটতে হয়।
ভুবনেশ্বরী
দক্ষিণী সিনেমার বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী ভুবনেশ্বরীও। তিনি সিনেমার পাশাপাশি বেশ কিছু টিভি সিরিয়ালেও কাজ করেছিলেন। ২০০৯ সালে তাকে একটি দেহব্যবসার চক্রের সঙ্গে পুলিশ গ্রেফতার করে। কিন্তু রাজনীতিবিদদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার সুবাদে ছাড়া পেয়ে যান অভিনেত্রী।
কিন্নেরা
তেলেগু সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির অভিনেত্রী কিন্নেরা প্রধানত টিভি সিরিয়ালের জন্য বেশি জনপ্রিয় ছিলেন। তবু তিনি পতিতাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। দেহব্যবসা করতে গিয়েই পুলিশের হাতেনাতে ধরা পড়েন এ অভিনেত্রী।
সংগীতা বালন
তামিল বিনোদন জগতের জনপ্রিয় মুখ সংগীতা বালন। ২০১৮ সালের জুন মাসে অভিযোগ ওঠে— তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি দিনের পর দিন দেহব্যবসা চালিয়ে আসছেন। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায় চেন্নাইয়ের পানায়ুড়ের একটি রিসোর্টে। উদ্ধার করা হয় অন্য রাজ্য থেকে আসা বেশ কয়েকজন যৌনকর্মীকেও।
শ্বেতা বসু প্রসাদ
শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী পতিতাবৃত্তিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল শ্বেতা বসু প্রসাদের। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে হায়দরাবাদের একটি হোটেল থেকে দেহব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অবশ্য সে পাঠ চুকিয়ে বর্তমানে নিয়মিত পর্দায় কাজ করছেন অভিনেত্রী।
আরশি খান
বলিউড অভিনেত্রী আরশি খানের বিরুদ্ধেও দেহব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু এ অভিযোগ তিনি বরাবরের মতোই অস্বীকার করেছেন। আরশি খান বলেন, জীবনে কোনো দিনই দেহব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না তিনি। তাকে হেনস্তা করা হয়েছিল।