নাসিম রুমি: ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত। ব্যক্তিগত জীবনে নীলাঞ্জনার সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন তিনি। এ সংসারে তাদের দুটো সন্তান রয়েছে। এদিকে নেটদুনিয়ায় জোর চর্চা চলছে, ভেঙে যাচ্ছে যীশু-নীলাঞ্জনার সংসার।
কেবল গুঞ্জন নয়, বহুদিন ধরে আলাদা থাকছেন যীশু-নীলাঞ্জনা। তবে এখনো কাগজে-কলমে স্বামী-স্ত্রী তারা। এর আগে সংসার ভাঙা প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন নীলাঞ্জনা। তবে যীশুকে কথা বলতে দেখা যায়নি বললেই চলে!
যীশু সেনগুপ্ত বলেন, “এটা নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। আগেও বলিনি, আজও বলতে চাই না। অনেকের অনেক ধারণা রয়েছে। তবে আমি একটা কথাই বলব, ‘বাইরে থেকে বইয়ের কভার দেখে, বইটার বিচার করতে যাবেন না।’ এটা নিয়ে আমি কোনো দিনই মুখ খুলব না, কারণ আমার ব্যক্তিগত কিছু কারণ আছে। তবে কিছু মানুষ অবশ্যই আছেন, যাদের সঙ্গে এটা নিয়ে আলোচনা করেছি, যতটা করা যায়। না হলে তো পাগল হয়ে মারা যেতাম। তবে আমি তাদেরও বলে দিয়েছি, যদি তারা এটা নিয়ে বাইরে কথা বলেন, তাহলে তাদের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক থাকবে না।”
দাম্পত্য সম্পর্কে ফাঁটল ধরেছে বলে স্ত্রীর বিরুদ্ধে চলে যাবেন, এমন মানসিকতা পোষণ করেন না যীশু। ইঙ্গিতপূর্ণভাবে এ বিষয়ে তিনি বলেন, “দুটো মানুষ এক জায়গায় থাকতে পারছে না। ছোটোবেলায় আমরা তিন বন্ধু বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলাম। তার মধ্যে একজনের সঙ্গে আমার সমস্যা হলো। তারপর তার আর আমার সেভাবে বন্ধুত্ব থাকল না। তবে আমি আর আমার আর এক বন্ধু বেস্ট ফ্রেন্ড হয়েই থেকে গেলাম। তেমন আমরাও বন্ধু ছিলাম। কিন্তু এটা হতেই পারে একটা জায়গায় আমাদের মতের অমিল, মিল, শ্রদ্ধা, একসঙ্গে থাকা সবটাই একটা পয়েন্টে মনে হতেই পারে ঠিকভাবে হচ্ছে না। তার মানে এই নয় যে, আমি মানুষটার বিরুদ্ধে চলে যাব। আমি বিশ্বাস করি, যদি কোনো সমস্যায় পড়ে আমি ওর পাশে থাকব।” তবে ওর এবং আমার মাঝে যা ঘটেছে সেটা উভয়ের জন্য কল্যান হবে।
দাম্পত্য জটিলতা তৈরি হওয়ার পর যীশুর কন্যা সারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবাকে আনফলো করেছে। এ বিষয়ে যীশু বলেন, “সারাকে নিয়ে আমি খুব গর্বিত। ও আমার থেকেও যথেষ্ঠ স্মার্ট। আমি ওর ছবি পেলেই যারা আমার কাছের তাদের দেখাই। ও খুব ভালো কাজ করছে। পুরোটাই ও নিজে করেছে। আমি কখনো বলব না যে, আমি বা নীলাঞ্জনা ওকে সাহায্য করেছি। ও সবটা নিজে করেছে। ও যা করেছে আমি কখনো তা পারতাম না।”