ঢাকাই সিনেমার নায়িকা মাহিয়া মাহি। ‘ভালোবাসার রঙ’ সিনেমা দিয়েই তার অভিষেক ঘটে। নিজের দক্ষতা ও অভিনয়শৈলী দিয়ে জয় করে নেন দর্শক হৃদয়। বেশ কিছু ভালো সিনেমাও তিনি উপহার দিয়েছেন। তাকে নিয়ে আশা জেগেছিল পরিচালক-প্রজোকদের মনেও। কিন্তু হঠাৎ করেই নিভে যায় সে আশার আলো।
নায়িকা অভিনয়কে বিদায় জানিয়ে যোগ দিয়েছিলেন রাজনীতিতে। দ্বিতীয় স্বামী রাকিব সরকারের হাত ধরেই পথ চলা শুরু করেন রাজনীতির মাঠে। আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী হয়ে ছুটে বেড়িয়েছেন দেশের নানা প্রান্তে। গত দ্বাদশ নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নমিনেশন।
কিন্তু দল তার উপর ভরসা করতে পারেননি। দেয়নি নমিনেশন। তাই ব্যর্থ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েই নির্বাচনে অংশ নেন নিজ এলাকা চাপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন থেকে। কিন্তু ফলাফল শূন্য। ট্রাক মার্কা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে হারের স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়েন এ অভিনেত্রী।
এরপর সিনেমায় আবারও ফেরার চেষ্টা করলেও আর সুবিধা করতে পারছেন না। এদিকে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট পালিয়ে যান স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য মাহিকেও আর দেখা যাচ্ছে না।
বলা যায়, নিজেকে আড়াল করেই রেখেছেন তিনি। নতুন কোন সিনেমার কাজ তো তার হাতে নেই, এমনকি শোবিজের কোনো আয়োজনেও আর তার দেখা মেলে না। মাঝে মাঝে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে তাকে সরব হতে দেখা যায়। সামাজিক মাধ্যমে প্রায়ই তার ছেলের সঙ্গে ছবি শেয়ার করেন তিনি।
তাতে অনুমেয় যে ঘরবন্দি এ নায়িকা এখন সন্তান সংসার নিয়েই সময় কাটাচ্ছেন। সিনেমার ক্যারিয়ার অনেকটাই থমকে গেছে তার। ভবিষ্যতেও আর আগের মাহি হয়ে ফিরতে পারবেন কিনা সেটি নিয়েও রয়েছে সংশয়। এদিকে সর্বশেষ গত বছর ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘রাজকুমার’ নামে একটি সিনেমায় ক্যামিও চরিত্রে দেখা গিয়েছিল এ অভিনেত্রীকে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। সেই সংসার ভেঙে যাওয়ার পর ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন এই নায়িকা। তাদের সংসারে একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। কিন্তু সেই সংসার জীবনের আড়াই বছরের মাথায় দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন মাহি-রাকিব।