English

18 C
Dhaka
শনিবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫
- Advertisement -

দেশবরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী ও নজরুলসঙ্গীত বিষয়ক শিক্ষক সোহরাব হোসেন-এর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

- Advertisements -

এ কে আজাদ: দেশবরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী ও নজরুলসঙ্গীত বিষয়ক শিক্ষক সোহরাব হোসেন-এর মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। কিংবদন্তীতুল্য নজরুলসংগীতের জনপ্রিয় এই কন্ঠশিল্পীর মৃত্যুদিবস-এ তাঁর প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

সোহরাব হোসেন ১৯২২ সালের ৯ এপ্রিল, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার আয়েশাতলা গ্রামে, জন্মগ্রহন করেন। তিনি সর্বপ্রথম ওস্তাদ জয়নুল আবেদিন এবং কিরণ দে চৌধুরীর কাছে উচ্চাংগ সংগীতে তালিম নেন।
তারপর পূরবী দত্তের কাছে নজরুল সংগীতে তালিম নেন।
কলকাতায় সর্বপ্রথম শ্রীরংগম থিয়েটারে গায়ক হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৪০ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত কলকাতা বেতারে নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন।

১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর ঢাকায় এসে, আব্বাস উদ্দিন আহমদের সহযোগিতায় সরকারী তথ্যবিভাগে যোগ দেন। ঢাকা বেতার এবং টেলিভিশনে নজরুল সংগীত পরিবেশনার পাশাপাশি সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন।

সোহরাব হোসেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রেও নেপথ্য কন্ঠশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন।
তিনি যেসব ছবিতে নেপথ্য কন্ঠ দেন সেগুলো হলো- মাটির পাহাড়, যে নদী মরু পথে, রাজধানীর বুকে, এদেশ তোমার আমার, জোয়ার এলো, গোধূলীর প্রেম, শীত বিকেল এবং আগুন্তক অন্যতম ।

সোহরাব হোসেন-এর গাওয়া কিছু জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- অনেক ছিলো বলার…., কেন প্রেম যমুনা আজি হলো অধীর…., কাজরী গাহিয়া এসো…, আমি চিরতরে দূরে চলে যাব…., শিউলী ফুলের মালা দোলে…., কাননগিরি সিন্ধুপার…, কেউ ভোলে না কেউ ভোলে…., বউ কথা কউ…, জাগো জাগো রে মুসাফির…., নমঃ নমঃ নমো বাংলাদেশ মম…., নিরজনে সখি…., রঙিলা আপনি রাধা…., আঁধার রাতে কে গো একেলা…., আমার কোন কূলে আজ…, কত নিদ্রা যাও রে কন্যা…., তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে…., রোজ হাশরে আল্লাহ আমার…, আইজকা হইব মোর বিয়া…., ইত্যাদি।

তিনি মঞ্চনাটকের সাথেও জড়িত ছিলেন। কার্জন হল, ব্রিটানিয়া হল’সহ অনেক জায়গায়, বিভিন্ন মঞ্চনাটকে অভিনয় করেছেন। তুলসী লাহিড়ীর ‘ছেঁড়াতার’ নাটকেও অভিনয় করেছেন ।

তিনি ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা, বুলবুল ললিতকলা একাডেমীর নজরুল সংগীত বিষয়ক শিক্ষক, শিল্পকলা একাডেমীর নজরুল সংগীত বিষয়ক শিক্ষক, নজরুল একাডেমীর নজরুল বিষয়ক শিক্ষক এবং নজরুল সংগীত প্রামাণীকরন পরিষদ এবং নজরুল ইন্সটিটিউটের ট্রাস্ট্রী বোর্ডের সদস্য ছিলেন।

নজরুল সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য সোহরাব হোসেন ১৯৮০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার পান। এছাড়াও তিনি নজরুল একাডেমী পদক, চ্যানেল আই সম্মননা, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সম্মাননা ও মেরিল প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা লাভ করেন।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/k8vw
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন