জনপ্রিয় ফোক সংগীতশিল্পী শাহনাজ বেলী। এরইমধ্যে ধারাবাহিকভাবে বেশ কিছু শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। এখনও নিয়মিত গান করে যাচ্ছেন এ শিল্পী। এদিকে বছর জুড়েই দেশ বিদেশের শো নিয়ে ব্যস্ত থাকেন শাহনাজ বেলী। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে শো কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। খুব বেছে শো করছেন। পাশাপাশি অংশ নিচ্ছেন চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠানে। সব মিলিয়ে কেমন আছেন?
বেলী বলেন, ভালো আছি।
গত কয়েক মাস করোনার প্রকোপ কম ছিল। এ সময়টায় বেশ কিছু অনুষ্ঠান করেছি। নতুন গান করেছি। তবে এখন আবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। একটু আতঙ্কে আছি।
নতুন বছর শুরু হয়েছে। প্রত্যাশা কি? এ শিল্পী বলেন, গত দুটি বছর করোনার কারণে সময়টা একদমই ভালো যায়নি। বিশেষ করে সংগীতশিল্পীরা খুব খারাপ সময় পার করেছেন। পাশাপাশি অনেক মিউজিশিয়ানও মানবেতর জীবনযাপন করেছেন। অনেকেতো কাজ হারিয়ে ঢাকা ছেড়েছেন। পেশা ছেড়েছেন কেউ কেউ। এতটা বাজে সময় আমি আমার জীবনে দেখিনি। নতুন বছরের প্রধান চাওয়া হলো করোনামুক্ত পৃথিবী। এই পৃথিবী থেকে করোনায় লাখ লাখ মানুষ চলে গেছেন। এই মৃত্যু আর দেখতে চাই না। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি এই অবস্থা থেকে যেন আমরা পরিত্রান পাই।
নতুন গানের কি অবস্থা আপনার? শাহনাজ বেলীর উত্তর- সম্প্রতি নাটকের ছয়টি গানে কন্ঠ দিয়েছি।
নাটকের জন্য লালনের ছয়টি গানে কন্ঠ দিয়েছি। নাটকটির নাম ‘ওরা’। ওরা হচ্ছে লালন সাঁইজির অনুসারী কিছু মানুষ, আমরা যাদের বাউল ফকির বলি। তাদের নিয়ে অথবা তাদের দিয়ে লালন সাঁইয়ের কিছু মূল প্রতিপাদ্য তুলে ধরা হয়েছে নাটকে। একক গান ছাড়াও দ্বৈত গানও হয়েছে। আমার সঙ্গে কন্ঠ দিয়েছে খায়রুল ওয়াসী। আশা করছি গানগুলো ভালো লগবে। এছাড়াও রাধারমন ও শাহ আলম সরকারের গান করছি। লালনের আরও কিছু গান হচ্ছে। এগুলো দ্রুতই আমার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করবো।
এখন ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেন দেখছেন? উত্তরে শাহনাজ বেলী বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। ডিজিটালি এখন গান প্রকাশ হচ্ছে। তবে আগের মতো সেই রমরমা ব্যাপারটি নেই। গান প্রকাশের যে উৎসবমুখর পরিবেশ সেটা নেই। তবুও বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবাইকে চলতে হবে।
তবে ফোক গান অনেকে রিমিক্স কিংবা রিমেক করছেন। এটা না করার অনুরোধ থাকবে। এতে করে মূল গানের আবেদন নষ্ট হয়।