বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র মারা গেছেন ২৪ নভেম্বর। তার মৃত্যুতে শোক যেন পুরো ভারতজুড়ে। স্বামী ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর পর তিনদিন তাকে নিয়ে কোনো কথাই বলেননি দ্বিতীয় স্ত্রী-অভিনেত্রী হেমা মালিনী। স্বামীর মৃত্যুর পর আজ প্রথম তাকে নিয়ে কথা বললেন হেমা। সেই সঙ্গে ধর্মেন্দ্রকে নিজের ‘সবকিছু’ উল্লেখ করে ব্যক্তিগত অপূরণীয় শূন্যতার কথা তুলে ধরেন তিনি।
পরিবারের সঙ্গে তোলা বেশ কয়েকটি স্মৃতিময় ছবি শেয়ার করে হেমা সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘ধর্মাজি, তিনি আমার কাছে অনেক কিছু। আমার স্বামী, দুই মেয়ে ইশা ও অহানার আদরের বাবা, বন্ধু, দার্শনিক, পথপ্রদর্শক, কবি। প্রয়োজনে আমি যার কাছে ছুটে যেতাম। সুখ-দুঃখের প্রতিটি সময়ে তিনি আমার সবকিছু ছিলেন।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমার পরিবারেও সব সবার সঙ্গে সহজ, বন্ধুসুলভ আচরণে তিনি নিজেকে আপন করে তুলেছিলেন। সবার প্রতি তাঁর আন্তরিকতা ছিল অসাধারণ।’
ধর্মেন্দ্রের তারকাখ্যাতি ও বিনয়ী স্বভাবের কথা উল্লেখ করে হেমা লেখেন, ‘জনপ্রিয়তার মধ্যেও তার সরলতা, প্রতিভা ও সর্বজনস্বীকৃত আকর্ষণ তাকে ভারতীয় সিনেমায় এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। তাঁর অবদান ও জনপ্রিয়তা চিরকাল অমলিন থাকবে।’
পোস্টের শেষে তিনি লিখেছেন, ‘তার চলে যাওয়া আমার জীবনে এক গভীর শূন্যতা তৈরি করেছে, যা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। দীর্ঘ পথচলার অসংখ্য স্মৃতি নিয়েই এখন বাকিটা জীবন কাটাতে হবে।’
১৯৮০ সালে হেমা মালিনি ও ধর্মেন্দ্রর বিয়ে হয়। তাঁদের দুই কন্যা। ইশা ও অহানা। তবে ধর্মেন্দ্র তাঁর প্রথম পরিবার থেকে আলাদা থাকলেও দুই পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন।
হেমা ও ধর্মেন্দ্র একসঙ্গে বহু হিট ছবিতে অভিনয় করেছেন, ‘শরাফাত’, ‘তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান’, ‘নয়া জামানা’, ‘রাজা জানি’, ‘সীতা অউর গীতা’, ‘জুগনু’, ‘পাথর আউর পায়েল’, ‘প্রতিজ্ঞা’ ও ‘শোলে’-যা এখনও দর্শকের কাছে সমান জনপ্রিয়।
প্রসঙ্গত, ২৪ নভেম্বর মারা যাওয়ার পর একইদিন মুম্বাইয়ে ধর্মেন্দ্রর শেষকৃত্য হয়। আজ সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের একটি হোটেলে তার স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে পরিবারের সদস্য, সহকর্মী ও বন্ধুরা উপস্থিত থাকবেন।
