জিও নিউজ জানিয়েছে, তল্লাশির সময় হুমাইরার ফ্ল্যাটে তিন থেকে চারটি মাটির পাত্রে রহস্যজনক সাদা পাউডার উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ওই পাউডারের নমুনা পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাউডারগুলোর উপস্থিতির যৌক্তিক কারণ বা ব্যাখ্যা মেলেনি। চূড়ান্ত কিছু বলার আগে রাসায়নিক বিশ্লেষণের ফলাফল অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ল্যাব রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। হুমায়রার দেহের নমুনা পরীক্ষায় জানা গেছে, তার শরীরে কোনো চেতনানাশক বা মাদক কিংবা বিষাক্ত কোনো উপাদানের অস্তিত্ব মেলেনি।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ল্যাব রিপোর্টে বলা হয়, হুমায়রার মৃত্যু স্বাভাবিক হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
তদন্তের আগের প্রতিবেদনেও বলা হয়েছিল—এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, হুমায়রার মৃত্যু স্বাভাবিক বা দুর্ঘটনাজনিত হতে পারে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, হুমাইরা ওই সময় মারাত্মক আর্থিক সংকটে ছিলেন এবং কাজ না পাওয়ায় মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়েছিলেন। তার মোবাইলের মেসেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তিনি বারবার কাজ বা পরিচিতদের মাধ্যমে কোনো চাকরির অনুরোধ করেছেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার অনুরোধকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, নভেম্বর মাসে ওই ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসিন্দারা হুমাইরার ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ আসার অভিযোগ করেছিলেন ভবনের প্রহরীর কাছে। তবে বাড়ির মালিকপক্ষ গিয়ে কিছুই টের না পাওয়ায় বিষয়টি তখন গুরুত্ব পায়নি।
কর্মকর্তারা মনে করছেন, গন্ধ শনাক্তে এই বিলম্বের কারণেই তা পরে দুর্বল হয়ে পড়ে।
আরও জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় হুমাইরা কাপড় ধুচ্ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি কোনো কারণে বাথরুম থেকে বের হয়ে কিছুতে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান এবং সেখানেই প্রাণ হারান। তার রান্নাঘরে কোনো খাবারের চিহ্ন পাওয়া যায়নি, যদিও মোবাইলে একটি ফুড ডেলিভারি অ্যাপ ছিল। তবে সেটি কাজ করছিল না।