English

33.2 C
Dhaka
বুধবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫
- Advertisement -

বলিউড যে কারণে ‘গুরুত্ব পেল না’ প্রসেনজিতের কাছে

- Advertisements -

নাসিম রুমি: আশির দশকের শেষের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাণিজ্যিক ধারার বাংলা সিনেমা করে দারুণ নাম করা অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় শুরুর দিকেই পা রেখেছিলেন বলিউডে।

পরপর কিছু সুযোগও আসে। কিন্তু হিন্দি চলচ্চিত্রের বিস্তৃত পরিসর ফেলে কেন বাংলা সিনেমাতেই ক্যারিয়ার গড়লেন এই অভিনেতা?

কারণ প্রসেনজিৎ চেয়েছিলেন, তিনি বাংলা সিনেমায় কেবল অভিনেতা হয়ে নয়, ‘নায়ক’ হিসেবে রাজত্ব করবেন।

গনমধ্যমককে সম্প্রতি দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যারিয়ার নিয়ে অকপট হয়েছেন প্রসেনজিৎ।

নব্বই দশকের শুরুতে ডেভিড ধাওয়ানের ‘আঁধিয়ান’ দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয়েছিল প্রসেনজিতের। এর আগে সালমান খান অভিনীত ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ করারও প্রস্তাব এসেছিল অভিনেতার কাছে। এছাড়া তিনি কাজ করেছেন ‘সাংঘাই’ নামের একটি সিনেমাতেও।

প্রসেনজিৎ বলেন, “বাংলা সিনেমার হিরো হতে চেয়েছিলাম। ওই সময়ে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে ফেলে বেরিয়ে যেতে চাইনি।”

কয়েক প্রজন্মের দর্শক প্রসেনজিতের সিনেমা দেখছে। ১৯৬৮ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে হৃষিকেশ মুখার্জির ‘ছোট্ট জিজ্ঞাসা’ সিনেমায় প্রথম পর্দায় আসেন প্রসেনজিৎ। আর ১৯৮৭ সালে সুজিত গুহের ‘অমর সঙ্গী’তে অভিনয় করে ব্যাপক পরিচিতি পান তিনি। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি এই নায়ককে, একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন ভক্তদের।

তবে প্রসেনজিৎকে ‘অভিনেতা’ হিসেবে তুলে ধরেন প্রয়াত নির্মাতা ঋতুপর্ণ সেনগুপ্ত ২০০৩ সালে ‘চোখের বালি’ সিনেমায়। এর পর থেকে ধীরে ধীরে বাণিজ্যিক সিনেমা থেকে দূরে সরে যান অভিনেতা।

২০১০ সালে নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির হাত ধরে ‘অটোগ্রাফ’ সিনেমা এবং পরবর্তীতে একের পর এক গল্প ও চরিত্র নির্ভর সিনেমা করে নিজেকে ‘অন্য মাত্রায়’ তুলে ধরেছেন এই অভিনেতা।

ঋতুপর্ণ চলে যাওয়ার পর সৃজিত মুখার্জির বেশ কিছু সিনেমায় প্রসেনজিৎকে পেয়েছে দর্শক। এছাড়া নবীন পরিচালকরাও পাচ্ছেন এই অভিনেতাকে।

তবে ওটিটিতে হিন্দি সিরিজ দিয়ে হাতেখড়ি হয়েছে প্রসেনজিতের।

২০২২ সালে ওয়েব সিরিজ ‘স্কুপ’ ও ‘জুবলি’ দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন তিনি। এই অভিনেতার ভাষ্য, বলিউউড তাকে কাজের বড় একটি জায়গা দিলেও যেনতেন চরিত্র এলেই ‘তিনি করবেন না’।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/2mso
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

লড়াই চালিয়ে যান: অমিতাভ

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন