লাক্স সুন্দরী প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বিনোদন জগতে পথচলা শুরু করেন ঢালিউড অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। এরপর সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন তিনি। ছোটপর্দায় অসংখ্য নাটক, ওয়েব ফিল্ম এবং বড়পর্দাতেও রেখেছেন নিজের স্বকীয়তা। সেই সঙ্গে অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। শুধু অভিনয়ই নয়, নিজের রূপ নিয়েও আলাদা বৈশিষ্ট্য গড়ে তুলেছেন এ অভিনেত্রী। তার সাহসী উপস্থিতিতেও নেই কোনো দ্বিধা। কঠোর পরিশ্রমে নিজেকে ফিট রাখার পাশাপাশি রূপেও ধরে রেখেছেন উজ্জ্বলতা।
অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে রয়েছে তার সরব উপস্থিতি। তার ভালোলাগা, মন্দলাগা—সবই জানান দেন তার ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে। ৪০ বছর পেরিয়েও ভক্তদের মাঝে ছড়িয়ে দেন অনাবিল মুগ্ধতা। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে তার ভক্ত-অনুরাগীদের সামনে তুলে ধরেন নিজের ফিটনেস যাত্রার গল্প। জানালেন ৭৮ কেজি থেকে ৬০ কেজিতে আসার অভিজ্ঞতা।
সামাজিক মাধ্যমে কয়েকটি ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন আজমেরী হক বাঁধন। তার শরীরিক গঠনের পার্থক্য দেখিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন তিনি। সেই ছবি পোস্টের পর নেটিজেনদের মাঝে ভাইরাল হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। বাঁধনের ওজন কমানোয় তার ভক্ত-অনুরাগীরা বেশ চমকেও গেছেন! এক নেটিজেন লিখেছেন— ‘ওয়াও! এটা অনুপ্রেরণামূলক’। আরেক নেটিজেন লিখেছেন— ‘সত্যিই চমৎকার!’
সামাজিক মাধ্যমে পোস্টে ওজন কমানো প্রসঙ্গে আজমেরী হক বাঁধন লিখেছেন, ৭৮ কেজি থেকে ৬০ কেজি— আমি এটি করেছি! এই যাত্রা সহজ ছিল না। মানসিক স্বাস্থ্য সংগ্রাম, অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস এবং বংশগত কারণে ওজন বৃদ্ধিকে তুচ্ছ করার ফলস্বরূপ আমার ওজন বেড়েছিল। কিন্তু সঠিক চিকিৎসকের নির্দেশনা, ডিসিপ্লিন এবং আত্মবিশ্বাসের জোরে আমি মাত্র ৬ মাসে ১৮ কেজি ওজন কমাতে পেরেছি।
অভিনেত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল তার মেয়ে। মেয়েই তাকে শরীরচর্চা করতে, জাঙ্কফুড থেকে দূরে থাকতে এবং প্রতিদিন নিজেকে বিশ্বাস করতে অনুপ্রাণিত করেছিল। তিনি বলেন, এটি শুধু ওজন কমানো নয়; এটি নিরাময়, শক্তি এবং আত্মসম্মানেরও প্রতীক, যা এখনো এগিয়ে চলছি।
এদিকে আজমেরী হক বাঁধন বর্তমানে কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমায় কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এটি পরিচালনা করছেন তানিম নূর।
এ সিনেমা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, এ সিনেমায় অভিনয় করার জন্য তার মেয়েই তাকে উৎসাহ দিয়েছে। তিনি বলেন, এ সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বললেন, তখন আমার মেয়ে বলেছে— তুমি এটি করো।
অভিনেত্রী বলেন, কারণ আমাকে নাকি সবসময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তার গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু বলে জানান বাঁধন।
