English

35 C
Dhaka
বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
- Advertisement -

বাংলা ও জাতিসংঘের দাপ্তরিক ছয় ভাষার ত্যাগের গানের আনুষ্ঠানিক উন্মোচন

- Advertisements -

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহিদ দিবস উপলক্ষে ‘ত্যাগের গান’ শিরোনামের গানটির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন অনুষ্ঠান হয়ে গেল ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোঃ শাফীউল মুজ নবীন গানটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। বাংলা ও জাতিসংঘের দাপ্তরিক ছয়টি ভাষায় এ গানটি তৈরি করা হয়। সিনেভিশন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী চলচ্চিত্র পরিচালক জাফর ফিরোজের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। আরজে রাজুর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন একুশে পদক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, অনারারি কন্সুল, কনস্যুলেট অফ দ্যা রিপাবলিক অফ কোরিয়া, বাংলাদেশ এবং পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সাবেক উপ-পরিচালক ড. কানিজ ফাতেমা, মাশা বিশ্ববিদ্যালয়,মালয়েশিয়ার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল বাশার এবং ইউনিভার্সিটি কুয়ালালুমপুরের অধ্যাপক ডঃ এটিএম ইমদাদুল হক।

অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন খ্যাতিমান লেখক, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত অধ্যাপক ডঃ মোরশেদ শফিউল হাসান। শিল্পীদের মাঝে বক্তব্য রাখেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী ফাহমিদা নবী , আর জে রাজু, ইউক্রেন থেকে শিল্পী অলগা জো এবং মরক্কো থেকে শিল্পী আরিফ বেল।

প্রধান অতিথি বলেন- যারাই দেশের জন্য কাজ করবে তারাই সম্মানিত হবে এবং সেই সম্মানের কাজটি হয়েছে এই গানটির মাধ্যমে। ভাষা আন্দোলনের কথা পৃথিবী মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য এই গানটি ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন-দেশপ্রেম এবং দেশের সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা থেকে এই গানটি তৈরি হয়েছে। সবার উচিত নিজ নিজ যায়গা থেকে এভাবে দেশের জন্য কাজ করে যাওয়া।

Advertisements

মোহাম্মদ মহসিন বলেন- এই গানটি অসাধারণ একটি সৃষ্টি। জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা ব্যবহার করার কারণে গানটি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে পৃথিবীর মাঝে ছড়িয়ে যাবে।

ড. কানিজ ফাতেমা বলেন- আমাদের সবার উচিত গানটিকে দূতাবাস সহ সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়া। দেশে দেশে এই দিনটিকে স্মরণ করবে আমাদের শহীদদের স্মরণ করবে এটাই আমাদের আজ বড় প্রাপ্তি।

অধ্যাপক ডঃ মোরশেদ শফিউল হাসান বলেন- এই সময়ের জন্য এই গানটি একটি সুন্দর পদক্ষেপ। দেশের সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ব্যবহারকে বাস্তবায়ন করতে পারলেই সালাম, রফিকদের ত্যাগ সার্থক হবে।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন- এই গানটি আজ সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে গেছে। ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে তরুণরা আরও বেশী এগিয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Advertisements

অধ্যাপক ডঃ এটিএম ইমদাদুল হক মনে করেন ভাষা ও শহীদ দিবস আজ আন্তর্জাতিক রূপ পেয়েছে এবং সরকারের উচিত এই ভাষা নিয়ে গবেষণার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা। তরুণদেরকে উৎসাহিত করা।

জাফর ফিরোজের কথা ও সুরে গানটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন প্রতিভাবান সঙ্গীত পরিচালক সজীব দাস। গানটিতে বাংলাদেশ থেকে কণ্ঠ দিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী ফাহমিদা নবী ও এ সময়ের জনপ্রিয় শিল্পী আরজে রাজু। আরবি ভাষায় মরক্কোর শিল্পী আরিফ বেল, চাইনিজ ভাষায় সিঙ্গাপুরের শিল্পী জুলিয়ান, ইংরেজি ভাষায় ভেনিজুয়েলার শিল্পী মারকিউস গুনডে, ফ্রেঞ্চ ভাষায় ফ্রেঞ্চ শিল্পী বেঞ্জামিন, রাশিয়ান ভাষায় ইউক্রেইন থেকে শিল্পী অলগা জো এবং স্প্যানিশ ভাষায় গেয়েছেন স্পেনের শিল্পী পিসুছকি ও রোমানিয়ান শিল্পী কেইট ।

সিনেভিশনের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে গানটি দেখা যাবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন