নাসিম রুমি: কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ী বছর তিনেক আগে অনন্তলোকের পথে পাড়ি জমান। ৬৯ বছর তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে উপমহাদেশের সংগীতের বর্ণাঢ্য এক অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হয়েছিল। দীর্ঘ ৫০ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। বাংলা কিংবা হিন্দি— সব গানেই ছিলেন সমান পারদর্শী।
বাপ্পি ছিলেন বলিউডের— গোল্ডম্যান। গয়না পরতে ভালোবাসতেন তিনি। গান প্রথম ভালোবাসা হলেও সোনার গয়নার প্রতি ছিল অকৃত্রিম দুর্বলতা। তার জুয়েলারি কালেকশন যেকোনো গয়নাপ্রেমীর কাছে ঈর্ষণীয়। হাতে, গলায় পরে থাকতেন লাখ লাখ টাকার অলংকার। তার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সেই সব গয়না কে পেয়েছে? কার কাছে এখন সেই সব জুয়েলারি?
মৃত্যুর আগে ২০১৪ সালের এক হলফনামা করেছিলেন বাপ্পি। সেখানে লেখা ছিল তার মৃত্যুর পর তার যাবতীয় অলংকারের দায়িত্ব পাবেন ছেলে বাপ্পা ও মেয়ে রিমা। তার মৃত্যুর পর তার ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে সেই অলংকার গচ্ছিত রয়েছে রিমা ও বাপ্পার কাছেই।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মৃত্যুর আগে ৭৫৪ গ্রাম সোনা রেখে গেছেন লাহিড়ী। সেই সময় এর বাজারমূল্য ছিল ভারতীয় মুদ্রায় ৩৮ লাখ ৭১ হাজার ৭৯০ রুপি।
স্বর্ণের গয়না ছাড়াও বাপ্পি লাহিড়ীর গাড়ির শখ ছিল। তার সংগ্রহে ছিল বিমএমডব্লিউ, টেসলা এক্স, অডির মতো দামি গাড়ি। প্রায় ২২ কোটি টাকার সম্পত্তি রেখে গেছেন। কেন এত গয়না পরতেন- সে বিষয়ে বাপ্পি বলেছিলেন, ‘সোনা তাঁর লাকি চার্ম।’ সেই কারণেই সব জায়গাতে সোনা নিয়ে যেতেন।
১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্ম বাপ্পি লাহিড়ীর। বলিউডের রক ও ডিস্কো মিউজিকের প্রবর্তক তিনিই। সংগীতের সঙ্গে বাপ্পির প্রেম খুব ছোটবেলা থেকে। মাত্র তিন বছর বয়সে তবলা বাজানো শেখার শুরু। ১৭ বছর বয়সে গানের জগতে পথ চলা শুরু করেন এই কিংবদন্তি সংগীতজ্ঞ।