নাসিম রুমি: বাংলা গানের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী মাহমুদুন্নবী। তাঁর জন্মদিন ও মৃত্যুদিন ডিসেম্বরে। ১৯৩৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর জন্মেছিলেন বাংলা গানের এই কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী। ১৯৯০ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রয়াত হন তিনি।
তাঁর কণ্ঠের গানগুলো আজও কোথাও বেজে উঠলে স্মৃতিকাতর করে তোলে। বাবা মাহমুদুন্নবীর সুযোগ্য কন্যা সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী। বাবাকে নিয়ে স্মৃতিকাতর হয়ে এই তারকা বলেন, ‘আব্বা আমার আয়না। আমি আমাকে দেখি সেই আয়নায়।
আমার পরিবার, ভাইবোন, আম্মা, আমাদের সন্তানরা এবং আমার বাবার শ্রোতারা প্রত্যেকে আমার আয়নার অংশ। এই আয়নার আলোকে পথ চলার সাহস এক ধরনের ধৈর্য তৈরি করেছে। সেই ধৈর্যের মধ্যে আছে দেখার ও নেওয়ার ধারণক্ষমতা। শুদ্ধতা যেখানে বিলীন, সেখানে কীসের সঙ্গে আপস? সংগীতের সঙ্গে রুচিশীলতার যে সম্পর্ক তা তো আসলে স্নিগ্ধতা, সুদূরপ্রসারী সুরের মোহ থাকে।তা নিয়ে তো ভাবনা নেই বর্তমানে! তাই সাহসী একটা আয়না আমাকে প্রতিনিয়ত বিশ্বাসের প্রতিশ্রুতি দেয়।
একজন প্রিয় জনশ্রুত শিল্পী মাহমুদুন্নবী যুগে যুগে একবারই আসে, যাকে মানুষ ভালোবাসে সুরের অলংকরণ আর বিনয়ের কারণে। ধন্যবাদ শ্রোতাদের, যাদের জন্য আব্বা অমর হয়ে আছেন। আব্বার জন্য দোয়া করবেন। আর আমরা যেন তাঁর সেই সম্মান ধরে রাখতে পারি।’ নতুন কাজ নিয়ে তিনি বলেন, ‘নিয়মিত নতুন গান প্রকাশ করছি। আর ১৯ ডিসেম্বর ময়ূরপঙ্খী স্টার অ্যাওয়ার্ড (সিজন ফাইভ) আমাকে সম্মাননা জানাচ্ছে। ’
