নাসিম রুমি: ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা ও পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিক ২০২৪ সালে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। বিবাহবিচ্ছেদের কয়েক দিনের মধ্যে তৃতীয় বিয়ে করেন শোয়েব মালিক। অন্যদিকে সানিয়া মির্জা ছেলেকে নিয়ে পাকাপাকিভাবে দুবাইয়ে থাকা শুরু করেন। কারণ শোয়েবের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ছেলেকে একা মানুষ করার দায়িত্ব পড়ে সানিয়ার কাঁধে। আবার কাজের সূত্রে মুম্বাইয়ে যাতায়াত করেন তিনি।
বিচ্ছেদের পর বেশ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন এ টেনিস তারকা। বান্ধবীর এই অসময়ে পাশে ছিলেন কোরিওগ্রাফার ও পরিচালক ফারাহ খান।
সম্প্রতি সানিয়ার বাড়িতে আড্ডা দিতে যান ফারাহ খান, তার ইউটিউবের চ্যানেলের জন্য। যদিও সানিয়ার জীবনের এই সফরের সবটাই জানেন এ কোরিওগ্রাফার।
তবু তিনি প্রশ্ন করেন— একা মায়ের লড়াই কতটা? উত্তরে সানিয়া মির্জা বলেন, নিজের কাজ, নিজের পড়াশোনা, সন্তানের দায়িত্ব, মাতৃত্ব— সবটা মিলিয়ে মাঝেমধ্যে আবেগতাড়িত হয়ে যান।
সানিয়া জানান, তার জীবনের একবারে স্পর্শকাতর একটা সময়ে তিনি ফারাহকে পাশে পেয়েছেন। ফারাহ খান বলেন, তুমি থরথর করে কাঁপছিলে। আমি এর আগে তোমার ‘প্যানিক অ্যাটাক’ হতে দেখিনি। তাই যখন ডাকলে, আমার শুটিং ছেড়ে বাড়িতে পরার পাজামা ও হাওয়াই চটি পরে ছুটেছিলাম।’
ফারাহর কথায় সম্মতি জানিয়ে সানিয়া বলেন, ‘সেদিন তুমি না থাকলে শুটিং করতে পারতাম না।
উল্লেখ্য, সানিয়া মির্জা একজন বিখ্যাত ভারতীয় পেশাদার টেনিস খেলোয়াড়, যিনি তার শক্তিশালী ফোরহ্যান্ড গ্রাউন্ডস্ট্রোকের জন্য পরিচিত। তিনি ২০০৩ থেকে শুরু করে ২০১৪ সালে অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত ভারতের এক নম্বর মহিলা টেনিস খেলোয়াড় ছিলেন। তার কর্মজীবনের উল্লেখযোগ্য অর্জন হলো— তিনি ডাবলস ও মিক্সড ডাবলস উভয় বিভাগেই ছয়টি প্রধান গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপা জিতেছেন। ২০১৫ সালের এপ্রিলে তিনি ডাবলসে বিশ্বের ১ নম্বরে র্যাংকিং অর্জনকারী প্রথম ভারতীয় নারী খেলোয়াড় হন। তিনি ফেডারেশন কাপে (বর্তমানে বিলি জিন কিং কাপ) ভারতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং দেশের হয়ে সর্বোচ্চসংখ্যক ম্যাচ জেতার রেকর্ড গড়েছেন।
সানিয়া মির্জা ভারতের সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মাননা রাজীব গান্ধী খেল রত্ন পুরস্কারসহ বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। খেলাধুলা থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিভিন্ন উদ্যোগ এবং সামাজিক কাজে জড়িত আছেন।
