নাসিম রুমি: দিলীপ কুমার আর মধুবালার সম্পর্ক ছিল বলিউডে বহুল চর্চিত বিষয়। কিন্তু দীর্ঘদিন সম্পর্ক থাকলেও মধুবালাকে বিয়ে করেননি দিলীপ কুমার। কিন্তু কেন? সে কথা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন আরেক অভিনেত্রী মুমতাজ। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
সাংবাদিক ভিকি লালওয়ানির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে দিলীপ কুমার ও মধুবালার সম্পর্ক ভাঙার কারণ জানান মুমতাজ। তিনি বলেন, ‘সে (মধুবালা) সম্পর্ক ভাঙেনি বরং তিনিই (দিলীপ কুমার) সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আছেন। কারণ, অসুস্থতার জন্য মধুবালা সন্তান ধারণ করতে পারবেন না। তাই তিনি মধুবালার সঙ্গে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে সায়রা বানুকে বিয়ে করেন। সায়রা দারুণ মানুষ, মৃত্যুর আগপর্যন্ত তাঁর খেয়াল রেখেছেন। সায়রা আসলে ছিলেন দিলীপ কুমারের ভক্ত, দুজনের মধ্যে বয়সের ব্যবধানও অনেক। তবে আপনি যখন প্রেমে পড়েন, এসব কিছুই মনে থাকে না।’
দিলীপ কুমার ও মধুবালার প্রেম নিয়ে মুমতাজ আরও বলেন, ‘তাঁদের প্রেম নিয়ে সবাই খুব খুশি ছিলেন, হয়তো তাঁরা নিজেরাও খুশি ছিলেন। মধুবালা তো দিলীপ কুমারের জন্য পাগল ছিল। কিন্তু দিলীপ কুমার বাবা হতে চেয়েছেন। সম্ভবতই এ কারণেই তিনি মধুবালা নয়, সায়রাকে বিয়ে করেন।
মধুবালা নিজে আমাকে বলেন, “যদি জীবনে একজনকে ভালোবেসে থাকি, তবে সেটা ইউসুফ। কিন্তু যখন তিনি জানতে পারেন আমি মা হতে পারব না…।” চিকিৎসকেরা মধুবালাকে আগেই জানিয়েছিলেন, হৃদ্যন্ত্রে সমস্যার থাকার কারণে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হলেও জন্মের পর সন্তানের মারা যাওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।’
তবে মধুবালার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার জন্য দিলীপ কুমারকে দায়ী করতে চান না মুমতাজ। তাঁর ভাষ্যে, ‘মধুবালার প্রতি ভালোবাসা থাকলেও দিলীপ কুমারের হয়তো অন্য পরিকল্পনা ছিল, বাবা হওয়া হয়তো তাঁর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
তবে দুঃখজনক ব্যাপার হলো তাঁর সঙ্গে বিয়ের পর সায়রা বানুও মা হতে পারেননি। সায়রা দারুণ মেয়ে, আমার তাঁর জন্য খারাপ লাগে।’ হৃদ্যন্ত্রের সমস্যার কারণে ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৩৬ বছর বয়সে মারা যান মধুবালা।