নাসিম রুমি: আর্জেন্টাইন ‘খুদে জাদুকর’ লিওনেল মেসিকে ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেছে ভারতের কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। এদিন মেসিকে দেখতে না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন দর্শকরা।
এককথায় মেসির সফর ঘিরে ‘উত্তপ্ত’ কলকাতা। এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে মেসির সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তোপের মুখে টলিউড অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলি।
শনিবার টলিউড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধি হিসেবে যুবভারতীতে আমন্ত্রিত ছিলেন অভিনেত্রী। আগেভাগেই ‘লেডি সুপারস্টার’-এর উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছিল। নির্ধারিত সময়ে ‘ফুটবলের রাজপুত্র’কে স্বাগত জানাতে মাঠে পৌঁছান শুভশ্রী। সাক্ষাতের পর মেসি, সুয়ারেজের মধ্যমণি ফটোশিকারিদের ক্যামেরায় হাসিমুখে পোজও দিতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে।
ছবিগুলো শেয়ার করেই ট্রোলের শিকার হতে হলো তাকে।
অভিনেত্রীর শেয়ার করা হাসিখুশি ছবি দেখে মেসি ভক্তদের রাগ আরও বেড়ে যায়। কারও কটাক্ষ, জনতার টাকায় আপনারা ফুটেজ খাচ্ছেন। কেউ বা আবার শুভশ্রীকে ‘সময়জ্ঞানে’র পাঠ পড়ালেন।
তাদের মন্তব্য, যুবভারতী যখন রণক্ষেত্র, এমতাবস্থায় মেসির সঙ্গে ছবি দিয়ে কেন অনুরাগীদের দুঃখ বাড়াচ্ছেন?
এখানেই শেষ নয়, কেউ কেউ আবার শুভশ্রীর উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়েছেন, আপনি ফুটবল খেলা দেখেন বা বোঝেন? একাংশ আবার উদ্যোক্তা এবং অভিনেত্রীকে একসঙ্গে কাঠগড়ায় রেখে ক্ষোভ জানিয়ে লেখেন, জনতার চাঁদায় ফুর্তি হচ্ছে! এমন নানা মন্তব্যের ভিড় মন্তব্যের ঘরে।
প্রসঙ্গত, শনিবার নির্ধারিত সময়েই যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছান মেসি। কিন্তু আয়োজকসহ অন্যান্যদের ভিড়ে এবং ছবি তোলার মাঝে ঢাকা পড়ে যান মেসি। হাসিমুখে গ্যালারির উদ্দেশে হাত নাড়লেও সেটা দেখতে পাননি দর্শক। কারণ কিংবদন্তি ফুটবলারকে ঘিরে রেখেছিল অন্তত ৫০ জন।
এদিকে, মেসিকে দেখতে না পাওয়ার ক্ষোভের আঁচ করতে পেরেই সম্ভবত নির্ধারিত সময়ের আগে তাকে মাঠ থেকে বের করে নেন আয়োজকরা। তারপর ধৈর্যের বাঁধ ধরে রাখতে পারেননি ভক্তরা। কেউ মাঠে বোতল ছুড়ে, কেউ বা চেয়ার-ব্যারিকেড ভেঙে, পোস্টার পুড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা শুরু করেন। এককথায় উৎসবের আমেজ পাল্টে এদিন ক্ষোভের আগুন ঝরে পড়ছিল যুবভারতী স্টেডিয়ামে।
