নাসিম রুমি: প্রয়াত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক সাদি মহম্মদ। বৃহস্পতিবার বাদ জোহর মোহাম্মদপুর জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এরপর ওই মসজিদেরই কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে বুধবার রাত ৯টার দিকে সাদি মহম্মদের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়। তার ছোট ভাই নৃত্যশিল্পী শিবলী মহম্মদ জানান, ইফতার সেরে সাদি সংগীত চর্চা করেন। এর কিছু সময় পর হঠাৎ দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। তখন দরজা ভেঙে সাদির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের এডিসি মৃত্যুঞ্জয় দে সজল গণমাধ্যমকে জানান, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা, শিল্পী সাদি মহম্মদ আত্মহত্যা করেছেন।’ পরে তার মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন সাদি মহম্মদ। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরে শহীদ পিতার সন্তান।
তার বাবার নাম শহীদ সলিমউল্লাহ। মায়ের নাম জেবুন্নেছা সলিমউল্লাহ। ১৯৭৩ সালে বাবা-মায়ের ইচ্ছায় বুয়েটে ভর্তি হয়েছিলেন সাদি মহম্মদ। তবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মন বসাতে পারেননি এই সংগীতশিল্পী। ১৯৭৫ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াকালে গানের টানে স্কলারশিপ নিয়ে শান্তিনিকেতনে সংগীত নিয়ে পড়তে চলে যান সাদি মহম্মদ।
বিশ্বভারতী থেকে রবীন্দ্রসংগীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। সেই থেকে গানের জগতে পথচলা শুরু সাদি মহম্মদের। রবীন্দ্রসংগীতে সাদি মহম্মদের মূল পরিচিতি গড়ে উঠলেও আধুনিক গানেও সমান গুরুত্বপূর্ণ। অসংখ্য রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে তার কণ্ঠে।
সঙ্গে আধুনিক গানও। এ ছাড়াও তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।