English

31 C
Dhaka
রবিবার, মে ৫, ২০২৪
- Advertisement -

যা হারিয়েছি ও ভোগ করেছি তা পরিমাপ করা যায় না: জ্যাকলিন

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ বলেছেন যে তিনি সুকেশ চন্দ্রশেখর দ্বারা প্রতারিত এবং তাঁর কারসাজির শিকার। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দ্বারা সংযুক্ত বা আটককৃত তাঁর সম্পদ ছেড়ে দিতেও কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন তিনি। অর্থ আত্মসাৎ প্রতিরোধ আইনের অধীনে অভিযুক্ত ৩৬ বছর বয়সী এই তারকা আরো বলেন যে, তিনি সুকেশ চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে উপহার নেওয়ার জন্য অভিযুক্ত হতে পারেন। কিন্তু এসবের কারণে তিনি যা হারিয়েছেন, সেটা পরিমাপ করা যায় না।

এই বছরের এপ্রিলে ‘ইডি’ এই অভিনেত্রীর ৭.২ কোটি মূল্যের স্থায়ী আমানতের অস্থায়ী সংযুক্তির আদেশ দেয়। গত সপ্তাহে, ইডি তাঁর বিরুদ্ধে একটি চার্জশিটও দাখিল করেছে অর্থ পাচারের অভিযোগে।

নয়াদিল্লিতে পিএমএলএর আপিল কর্তৃপক্ষের সামনে অস্থায়ী সংযুক্তি আদেশের পরে জারি করা নোটিশের জবাবে জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ বলেছেন, ‘তিনি কিছু উপহার গ্রহণ করেছিলেন যার জন্য তাকে বাধ্য করা হয়েছিল। তাই বলে এই সত্যটিকে উপেক্ষা করা করা যাবে না যে তিনি সুকেশ চন্দ্রশেখর দ্বারা প্রতারিত ছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত, ইডির পদ্ধতিটি অত্যন্ত যান্ত্রিক এবং অনুপ্রাণিত বলে মনে হচ্ছে। অতঃপর, সত্য এটাই যে উত্তরদাতা (জ্যাকলিন) অর্থে যা পরিমাপ করা যায় তাঁর চেয়েও বেশি হারিয়েছে। ’ এমনকি কারসাজির শিকার ছিলেন দাবি করে ইডিকে মানবিক পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত বলে মনে করে জ্যাকলিন বলেছেন, ‘একজন নারী হিসেবে তিনি যা হারিয়েছেন এবং যা ভোগ করেছেন তা আর্থিকভাবে গণনা করা যায় না। ’

২২ আগস্ট আইনজীবী প্রশান্ত পাটিলের মাধ্যমে দায়ের করা তাঁর প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনা করেছে এইচটি।

ইডি দ্বারা সংযুক্ত নিজের এফডি সম্পর্কে জ্যাকলিন বলেছেন যে এগুলি ইতিমধ্যে বিদ্যমান এফডিগুলির পরিপক্কতা ও পুনঃবিনিয়োগের মাধ্যমে তৈরিকৃত আয় এবং তাঁর রক্ত-ঘামের পরিশ্রমের উপার্জিত অর্থ যা এতদিন শিল্পে কাজ করার মাধ্যমে পেশাগতভাবে উপার্জন করেছেন তিনি।

জ্যাকুলিন ইডিকেও দোষারোপ করে বলেন, আশ্চর্যের বিষয় হল যে উত্তরদাতার (জ্যাকুলিন) মতো আরও কিছু সেলিব্রিটি, বিশেষত নোরা ফাতেহি এবং অন্যান্য সেলিব্রিটিরাও চন্দ্রশেখর এবং অভিযুক্তদের কাছ থেকে উপহার পেয়েছিলেন। কিন্তু শুধু তাকেই আসামী হিসেবে টেনে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। এটি স্পষ্টতই তদন্ত কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে একটি খারাপ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি।

প্রসঙ্গত, সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে প্রায় ৩২টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশসহ একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থা। যার মধ্যে সিবিআই, ইডি এবং ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট রয়েছে বলে জানা গেছে। গোড়ার দিকে জ্যাকলিনের নাম এই কাণ্ডে জড়ালেও সেভাবে উত্তেজনা ছড়ায়নি। তবে সুকেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই ফেঁসে গেছেন এই অভিনেত্রী।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন