English

30 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
- Advertisement -

রাশেদ সীমান্ত এবার শিল্পপতি!

- Advertisements -

আবারও বৈশাখী টিভি পর্দায় দেখা যাবে জনপ্রিয় অভিনেতা রাশেদ সীমান্তকে। বরিশাল, নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় অভিনয় করে তাবত দর্শকের হৃদয় জয় করা রাশেদ সীমান্ত এবার অভিনয় করছেন শিল্পপতি চরিত্রে। সংলাপ বলেছেন পুরোপুরি শুদ্ধ ভাষায়। ২৭ ডিসেম্বর বৈশাখী টিভির ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাত ৮টায় প্রচার হবে নাটকটি। একটি দুঘর্টনা, সারাজীবনের কান্না-এমন বিষয়কে কেন্দ্র করেই নির্মিকত হয়েছে তার এবারের নাটক ‘প্রতিদান’। সুবাতা রাহিক জারিফার চিত্রনাট্যে জিয়াউর রহমান জিয়ার পরিচালনায় নাটকটি লিখেছেন বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন। প্রযোজনা মিড এন্টারপ্রাইজ। রাশেদ সীমান্ত ছাড়াও এ নাটকে অভিনয় করেছেন অহনা, অলিউল হক রুমি, শফিক খান দিলু, শিল্পী সরকার অপুসহ আরো অনেকে।

নাটক নিয়ে বলতে গিয়ে লেখক টিপু আলম মিলন বলেন, ‘একটি সড়ক দুর্ঘটনার কারণে একটি পরিবার যে কি পরিমাণ হতাশার অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে পারে, তাই দেখানো হয়েছে ‘প্রতিদান’ নামের এ নাটকে। নাটকের গল্প হলো- বেখেয়ালি সুজন ঢাকার শহরে রোড এক্সিডেন্টে মারা যায়। এতে করে গ্রামে বসবাস করা সুজনের স্ত্রী মা এবং তিন বছরের শিশু কন্যা ভীষণ বিপদের সম্মুখীন হয়। এ পরিবারটি তাদের শেষ সম্বল বাড়ির ভিটাটুকু শহর থেকে শিল্পপতি ফয়সাল মাহমুদের কাছে বিক্রি করে দেন। ফয়সালের উদ্দেশ্য তিনি এখানে একটি বাংলো বাড়ি নির্মাণ করবেন। যাদের জমি কিনলেন তাদের ঠিকানাহীন অসহায়ত্ব দেখে ফয়সাল পরিবারটিকে তিন বছরের জন্য থাকার ব্যবস্থা করেন। তিন বছর পর যখন তিনি বাংলো নির্মাণের কাজ শুরু করবেন তখন তাদের জায়গাটি ছেড়ে দিতে হবে। ফয়সাল এই পরিবারিটিকে নানাভাবে সাহায্যও করতে থাকেন।

ধীরে ধীরে এই পরিবারটির সাথে ফয়সালের একটা সখ্যতা গড়ে উঠে। এটা সমাজের অনেকেই নেতিবাচক চোখে দেখে। অন্যদিকে গ্রামের বখাটে তরুণ ইদ্রিস সালমাকে বিয়ের জন্য উঠেপড়ে লাগে। কিন্তু সালমা তাকে একেবারেই পাত্তা দেয়না। সমাজের সব শকুণে চোখ এড়িয়ে শুরু হয় সালমার নতুন করে বেঁচে থাকার লড়াই। বখাটে ইদ্রিস এবার সালমা ও ফয়সালকে নানাভাবে হুমকি দেয়। ফয়সাল ও সালমার সম্পর্ক নিয়ে গ্রামে নানান কথা উঠে। এবার ফয়সালকে দেখা যায় এক রহস্যজনক চরিত্রে। সে সালমাদের আস্থাভাজন জমির চাচাকে রাতের আধারে মাঝে মধ্যে টাকা দেয় এবং তার চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করতে বলে। এভাবেই পরিনতির দিকে এগিয়ে যায় নাটকের গল্প।

আমার লেখা অন্যান্য নাটকের মতো এ নাটকটিও দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস। বিশেষ করে রাশেদ সীমান্ত আর অহনার অনবদ্য অভিনয় দেখে কেউ চোখের জল আটকে রাখতে পারবেন না।

উল্লেখ্য, গত ঈদুল আজহার ৪টি নাটকে অভিনয় করে দারুণভাবে প্রশংসিত হন রাশেদ সীমান্ত। নাটক ৪টি হলো- রোমান রনির পরিচালনায় ‘হাটা জামাই’, মিলন ভট্ট’র রচনা ও পরিচালনায় ‘নয়ন তারা স্টোর’, তারিক মুহাম্মদ হাসানের রচনা ও পরিচালনায় ‘ভাইয়ের সাথে একান্ত আলাপে’ এবং আল হাজেন পরিচালিত ‘প্রবাসী টাকার মেশিন’।

রাশেদ সীমান্ত হাতে গোনা যত নাটকে অভিনয় করেছেন তার প্রতিটিই দর্শক প্রশংসায় শীর্ষে রয়েছে। তার কোনো কোনো নাটকের ভিউ কোটির ঘরে। অতি অল্প সময়ে এত জনপ্রিয়তা টিভি নাটকে অন্য কোনো অভিনেতার বেলায় দেখা যায়নি বললেই চলে।
সৌখিন অভিনেতা রাশেদ সীমান্ত পেশাগত জীবনে বৈশাখী টেলিভিশনের মার্কেটিং ইনচার্জ।

দেশ-বিদেশের আপামর বাঙালি দর্শকদের ভালোবাসার কারণেই আজ তিনি একজন জনপ্রিয় অভিনেতার পরিচয় পেয়েছেন। যে কারণে তার অভিনয়ের প্রশংসা এখন হাটে-মাঠে-ঘাটে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। রাশেদ সীমান্ত বলেন, এটা আমার পরম পাওয়া। সকলের ভালোবাসা নিয়ে এভাবেই এগিয়ে যেতে চাই।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন