নাসিম রুমি: বলিউড সেনসেশন ও সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন সম্প্রতি একটি প্রসাধনী ব্র্যান্ডের ‘লেসনস অব ওর্থ’ সিরিজের নতুন ভিডিওতে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে সোশ্যাল মিডিয়া মানুষের জীবনের নিত্যসঙ্গী। এখন মানুষের সামাজিক মর্যাদা নির্ধারিত হয় সামাজিক মাধ্যমে— ‘লাইক আর কমেন্ট’ মানুষের আত্মস্বীকৃত আত্মমর্যাদা গড়ে তোলে। তবে এসবের থেকে একেবারেই আলাদা রাই সুন্দরী।
ঐশ্বরিয়া বলেন, আত্মমর্যাদা নিজের ভেতরের বিষয়। তার আত্মসম্মান কোনোভাবেই সামাজিক মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত নয়। তিনি বলেন, সামাজিক মাধ্যম কীভাবে মানুষের আত্মমূল্যায়নকে প্রভাবিত করছে এবং তা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। অনেকেই লাইক আর কমেন্টের ওপর ভরসা করে স্বীকৃতি পেতে চান। কিন্তু সত্যিকারের মূল্যবোধ অনলাইন অনুমোদনের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়।
অভিনেত্রী বলেন, আমি অভিনেত্রী হিসেবে নয়, একজন মা হিসেবেও উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সামাজিক মাধ্যম আর সামাজিক চাপের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্করাও এতে প্রভাবিত হন, যা একেবারেই গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।
ঐশ্বরিয়া সবাইকে অনুরোধ করেছেন— অনলাইনে স্বীকৃতি খোঁজা বন্ধ করতে। অভিনেত্রী বলেন, আত্মসম্মান মানুষের ভেতর থেকেই আসে, বাইরে থেকে নয়। সচেতনভাবে নিজের ভেতরে উত্তর খুঁজে নিতে হবে।
দর্শকদের আশ্বস্ত করে অভিনেত্রী বলেন, ‘তোমরা এর যোগ্য’ এবং তা ভেতর থেকে বিশ্বাস করতে হবে।
অভিনেত্রীর এ বার্তা সামাজিক মাধ্যমে নেটিজেনদের মনে দারুণ সাড়া ফেলেছে। কেউ তাকে ‘কুইন’ আখ্যা দিয়েছেন, আবার কেউ তার সৌন্দর্যের প্রশংসাও করেছেন। এক নেটিজেন লিখেছেন—আমি চাই পৃথিবীর অর্ধেক মানুষও যদি তার কথাগুলো বুঝতে পারত। আরেক নেটিজেন লিখেছেন—খুব সুন্দর কথা বলা হয়েছে। আর সেটা এসেছে ঐশ্বরিয়ার মতো একজনের কাছ থেকে।
উল্লেখ্য, গত বছর ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন দম্পতির বিচ্ছেদের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। পরে অবশ্য মুম্বাইয়ে মেয়েকে নিয়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এ দম্পতি সেই খবরকে ভুল প্রমাণ করেন। সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল মানি রত্নম পরিচালিত ‘পোন্নিয়িন সেলভান’ সিনেমায়। এখনো তিনি নিজের পরবর্তী কোনো প্রজেক্ট ঘোষণা করেননি।