English

30 C
Dhaka
সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

শাবনূরের চোখের দিকে তাকাচ্ছিলাম আর ভীষণ চমকে যাচ্ছিলাম: সংগীতশিল্পী কনকচাঁপা

- Advertisements -

শাবনূর, ঢাকাই সিনেমার অন্যতম সফল অভিনেত্রী। নব্বইয়ের দশকে জনপ্রিয়তায় আকাশ ছুঁয়েছিলেন তিনি। তাই তো, আজও সিনেমা পাড়ায় প্রচলিত- দর্শক শুধু শাবনূরকে দেখার জন্যই সিনেমা হলে যেতেন।

সফল এই অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারে যতগুলো সিনেমার গান জনপ্রিয় হয়েছে, তার সিংহভাগেই কণ্ঠ দিয়েছেন সংগীতশিল্পী কনকচাঁপা। তারা একে-অন্যের ক্যারিয়ারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গত বুধবার রাতে শাবনূরের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে দীর্ঘ স্ট্যাটাস লিখেছেন কনকচাঁপা। সেখানে শাবনূরের সঙ্গে নিজের কিছু স্মৃতি উল্লেখ করেছেন তিনি। কনকচাঁপার ফেসবুক স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলো-

Advertisements

‘শাবনূর আর আমি। দু’জনকে বলা যায়, দুই দেহ এক উপস্থাপন। আমি শাবনূরের অথবা শাবনূর আমার। প্লেব্যাকের পুরোটা উজ্জ্বল সময় আমি প্রধানত শাবনূরের জন্য গেয়েছি। আমি গাইলে নাকি ডিরেক্টরদের মনে হতো তিনিই (শাবনূর) গাইছেন। তাই তার ছবির গানে কনকচাঁপার কণ্ঠ অবশ্যম্ভাবী। অনেকেই এই ঠোঁট মিলে যাওয়া বা আবেগ মিলে যাওয়া অথবা বলা যায় একাত্ম হয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব আমাকে দিতে চান। আমি তা সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করি। কারণ, আরও নায়িকার লিপে আমি গেয়েছি কিন্তু এমন একাত্ম হওয়া যায়নি হয়তো। সেক্ষেত্রে আমি শাবনূরের অত্যাশ্চর্য অভিনয়কেই বেশি মূল্যায়ন করি। তিনি অনেক উঁচুদরের অভিনয় শিল্পী। এসব কথা বা ব্যাখ্যা অথবা বাস্তব ঘটনা যারা ছবি দেখতেন বা ছবির ভক্ত ছিলেন তারা সবাই হয়তো জানেন।

কিন্তু একটি কথা সবার একদম অজানা। যেমন পুরো পেশাদার জীবনে শাবনূর আর আমার খুব কম দেখা হয়েছে! প্লেব্যাক-এর প্রথম দিকে দু’জন মিলে একটা টিভি চ্যানেলের জন্য ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম। এরপর হঠাৎ হঠাৎ হয়তো চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কোনো অনুষ্ঠানে শাবনূরের সাথে আমার খুবই কম সময়ের জন্য দেখা হয়েছে। দু-একটা বাক্য বিনিময় ছাড়া আর কিছু হয়নি আমাদের মাঝে।

মাশুকের (কনকচাঁপার ছেলে) বিয়ের সময় দাওয়াত দিতে গেলাম তার (শাবনূর) বাসায়। বাসায় যাওয়ার পরে আবেগে, উচ্ছ্বাসে একদম উল্লসিত হয়ে গেলেন। আমার বাসা ওনার বাসার কাছাকাছি শুনে বললেন ‘ও আল্লাহ! তাইলে তো আপনার নিঃশ্বাস ও আমি পাই, অথচ মনে মনে আমি আপনাকে কতো খুঁজি!’

বিয়ের কার্ড বিলি করতে বাসা থেকে খেয়েদেয়েই বের হয়েছিলাম। শাবনূরের বাসায় যেতে দুপুর গড়িয়ে গেলেও তিনি কিছুতেই না খেয়ে আসতে দিলেন না। সেই দুপুরে আমার দুবার খেতে হলো!

Advertisements

জোর করে নিজ হাতে বেড়ে বেড়ে নিজের রান্না করা খাবার আমাদের খাওয়ালেন। আমার ড্রাইভার রনিকেও বেড়ে খাওয়ালেন। রনিকে খাওয়া শেষে শাবনূর যখন শুধালেন ‘টক দই না মিষ্টি দই দেবো?’ রনি পরিষ্কার একটা বিষম খেয়ে বলল ‘টকই দেন’।

আমি বারবার নিরাভরণ মেক-আপহীন শাবনূরের চোখের দিকে তাকাচ্ছিলাম! এবং ভীষণ চমকে যাচ্ছিলাম। তার চোখ এত সুন্দর, এত গভীর, এত চঞ্চল এবং এত কান্না সে চোখে যে, বেশিক্ষণ সে নয়ন পানে তাকানো যায় না!

কিন্তু সে চলাবলায় এত ভোলাভালা যে, আমি বারবার আনমনা হয়ে ভাবছিলাম এই মানুষ এত নিখুঁত অভিনয় কীভাবে করেন! কীভাবে পারেন! আমাকে জোর করে সারাবাড়ি ঘুরে ঘুরে দেখালেন।

যাইহোক, যথারীতি তিনি আমার ছেলের বিয়েতে এলেন, মজা করে খাবার খেলেন, ভক্তদের সবার সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে হেসে হেসে, ধৈর্য ধরে এত ছবি তুললেন যে আমরা সবাই বিস্মিত হয়ে গেলাম। সত্যিই আমরা গর্বিত হতে পারি যে, আমাদের একজন শাবনূর আছেন; যার নামের আগে পিছে কোনো বিশেষণ লাগে না।’

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন