নাসিম রুমি: বলিউডে খলনায়করা সবসময়ই দর্শকের মনে একটি বিশেষ স্থান তৈরি করে। তাদের চরিত্রগুলো জটিল, বহুমাত্রিক এবং অনেক সময় অনবদ্য। আশির দশকের নাটকীয় পাগলামি থেকে শুরু করে আধুনিক সময়ের মনস্তাত্ত্বিক ভয়- প্রতিটি যুগে উঠে এসেছে এমন খলনায়ক, যারা পর্দায় ‘অসুর’ চরিত্রের ধারণাই বদলে দিয়েছেন।
নিচে উঠে আসছে সেই অভিনেতাদের তালিকা, যারা অন্ধকারকে রূপ দিয়েছেন রুপালি জাদুতে:
১. অমরেশ পুরি — মোগ্যাম্বো (মিস্টার ইন্ডিয়া, ১৯৮৭)
অমরেশ পুরির ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’র মোগ্যাম্বো চরিত্র আজও ভয়ের প্রতীক। তার অট্টহাসি, কঠোর দৃষ্টি ও সোনালি পোশাকে আলাদা এক দমবন্ধ করা উপস্থিতি দর্শকের মনে গেঁথে গেছে। ‘মোগ্যাম্বো খুশ হুয়া’ সংলাপটি আজও চিরস্মরণীয়।
২. আমজাদ খান — গব্বর সিং (শোলে, ১৯৭৫)
‘শোলে’র গব্বর সিংকে অনন্য করে তুলেছে তার নিষ্ঠুর হাসি এবং কৌতুকমিশ্রিত খলচরিত্র। ‘কিতনে আদমি থে?’ সংলাপটি এখনও দর্শককে কাঁপিয়ে দেয়।
৩. আশুতোষ রানা — গোকুল পণ্ডিত (দুশমন,)
আশুতোষ রানা তার খলনায়ক চরিত্রে ভয়কে বাস্তব ও নিখুঁতভাবে ফুটিয়েছেন। উচ্চকণ্ঠ বা নাটকীয় অভিনয় নয়, শুধু চোখ ও কণ্ঠস্বরেই তিনি দেখিয়েছেন আসল ভয় কখনও প্রকাশ পায় না।
৪. নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী — রামান্না (রামন রাঘব ২.০, ২০১৬)
নওয়াজউদ্দিনের অভিনয় রামান্নাকে করে তুলেছে ভয়ঙ্কর এবং মানবিক। তার শান্ত মুখ, অনিশ্চিত কণ্ঠস্বর এবং রহস্যময় রসবোধ দর্শককে কাঁপিয়ে দেয়।
৫. সঞ্জয় দত্ত — কাঞ্চা চীনা (অগ্নিপথ, ২০১২)
সঞ্জয় দত্তের কাঞ্চা চীনা চরিত্র ছিল একদিকে ভয়ংকর, অন্যদিকে মোহনীয়। তার পর্দায় উপস্থিতি এবং ভয়াল হাসি তাকে দশকের অন্যতম স্মরণীয় খলনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
৬. সাইফ আলি খান — ল্যাংড়া ত্যাগী (ওমকারা, ২০০৬)
‘ওমকারা’তে ল্যাংড়া ত্যাগী চরিত্র দর্শককে চমকে দিয়েছিল। রুক্ষ উপভাষা, ধূর্ততা এবং প্রতিশোধপ্রবণ মনোভাব সাইফকে নতুনভাবে খলনায়ক হিসেবে পরিচিত করেছিল।
৭. রণবীর সিং — আলাউদ্দিন খিলজি (পদ্মাবত, ২০১৮)
রণবীর সিং ক্ষমতালোভী খিলজির চরিত্রে নিষ্ঠুরতাকেও শিল্পে পরিণত করেছেন। তার শক্তিমান অভিনয়, অপ্রত্যাশিত আচরণ এবং ভয়াল আবেগ চরিত্রটিকে করে তুলেছে অনবদ্য।
৮. প্রকাশ রাজ —
প্রকাশ রাজের অভিনয় দর্শককে দেখায় যে, চিৎকার না করেও ভয় দেখানো যায়। তার চতুরতা, আত্মবিশ্বাস এবং দাম্ভিকতা জয়কান্ত শিকরেকে স্মরণীয় করে তুলেছে।
সামিরা-ডনদের ফাঁসির দাবিতে সালমান ভক্তদের মানববন্ধন
৯. শাহরুখ খান — রাহুল মেহরা (ডর, ১৯৯৩)
‘ডর’-এ শাহরুখ খানের চরিত্র প্রেম ও উন্মাদের সংমিশ্রণে দর্শককে ভয় এবং সহানুভূতি একসাথে অনুভব করিয়েছে। এই চরিত্র বলিউডে ‘অ্যান্টি-হিরো’ ধারার নতুন পরিচয় এনে দেয়।
১০. রিতেশ দেশমুখ — রাকেশ মহাদকর (এক ভিলেন, ২০১৪)
রিতেশের সংযত অভিনয় দর্শককে দেখিয়েছে সাধারণ মানুষের ভেতরের ক্রোধ কিভাবে খলনায়ক চরিত্রে রূপ নিতে পারে। তার বাস্তবসম্মত অভিনয় ‘এক ভিলেন’কে বিশেষ করেছে।
