নাসিম রুমি: দেশের টেলিভিশন নাটকের গুণী অভিনেতা আমিরুল হক চৌধুরী। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য কালজয়ী কাজ করেছেন এ অভিনেতা। টেলিভিশন নাটকের পাশাপাশি সাহিত্যনির্ভর চলচ্চিত্রেও অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছেন। বয়স বাড়লেও এখনো নিয়মিত কাজ করতে বেশ উৎসাহী তিনি। তবে, কাজের ব্যাপারে তিনি বরাবরই খুবই রুচিশীল।
সব ধরনের কাজ তিনি করেন না। তার পছন্দমতো পাণ্ডুলিপি না হলে তা ফিরিয়ে দেন। তার উল্লেখ্যযোগ্য টেলিভিশন নাটকগুলো হলো- সালাহউদ্দিন লাভলুর ‘হাড়কিপ্টে’, হুমায়ূন আহমেদের ‘সমুদ্র বিলাস প্রাইভেট লিমিটেড’সহ ‘শিয়ালবাড়ি’, ‘বিয়ে হইতে সাবধান’, ‘ইতি কথা’ প্রভৃতি। এ ছাড়া তার অভিনীত প্রশংসিত চলচ্চিত্রগুলো হলো- গৌতম ঘোষের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’, মোরশেদুল ইসলামের ‘চাকা’ ও ‘দুখাই’, তানভীর মোকাম্মেলের ‘লালসালু’, হুমায়ূন আহমেদের ‘দুই দুয়ারি’ ও মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর ‘মেড ইন বাংলাদেশ’সহ বেশকিছু সিনেমা।
তিনি বলেন, বর্তমানে আধুনিক মাধ্যমগুলোকে আমাদের অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে, এমন সমস্যা থাকা সত্ত্বেও ভালো কাজ হচ্ছে। এমন করে অতীতেও হয়েছে। তবে, কিছু মানুষ এ সকল সমস্যা নিয়ে ভাবছে। তাই বেশ আনন্দ অনুভব হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যখন শুধু বাংলাদেশ টেলিভিশন ছিল, তখন কাজের ধরন এক রকম ছিল। পরে অনেক চ্যানেল হয়েছে। কাজের পরিবেশ বা ধরন পাল্টেছে অনেক। তবে ভালোমানের কাজ আগেও হয়েছে, এখনো হচ্ছে। মাধ্যম কোনো সমস্যা নয়। ভালো কাজ করলে, তা যুগ যুগ টিকে থাকবে। তিনি বলেন, আমি বরাবরই খুব পছন্দের সহিত কাজ করি। কাজের ক্ষেত্রে পাণ্ডুলিপিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এটা ভালো না হলে মানসম্মত কাজ উপহার দেয়া কঠিন। এখনো অনেক কাজের অফার আসে। আগের মতোই এখনো সব ধরনের কাজে আগ্রহ পাই না। বেছে বেছে কাজ করতে পছন্দ করি। হয়তো এজন্য কিছু দর্শক আজও মনে রেখেছে। এদিকে আমিরুল হক চৌধুরী সম্প্রতি শুটিং করেছেন ‘ডোডোর গল্প’- সিনেমার। রেজা ঘটকের পরিচালনায় এতে চিত্রনায়িকা পরীমনির বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। আমিরুল হক চৌধুরী অভিনয়ের জন্য বাংলাদেশ এসোসিয়েসন অব লস অ্যাঞ্জেলেস (বালা) আজীবন সদস্য পদ লাভ ও সম্মাননা, এই তো আমরা (আমেরিকা) এর আজীবন সম্মাননা ও কংগ্রেসম্যান ব্রেক শেরম্যান (লস অ্যাঞ্জেলেস)- সম্মাননাপত্রসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।