ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান তিনি। তার রহস্যজনক মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেন অভিনেতার সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। অভিনেতার মৃত্যুর প্রায় তিন দশক পর আদালতের নির্দেশে তার অপমৃত্যুর মামলা, হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে পুলিশ।
সালমানকে হত্যা মামলা দায়েরর পর থেকেই সরগরম নেটদুনিয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করছেন অভিনেতার ভক্ত ও শোবিজ তারকারা। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ মন্তব্য করেছেন, সত্যিকার অর্থে সালমান শাহকে কেউ কখনও ভালোবেসেছিল কিনা তার সন্দেহ আছে।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমার ধারণা সালমান প্রচণ্ড ডিপ্রেশনে (মানসিক অসুস্থতা) ভুগছিলেন। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়া সম্ভব ছিল। কিন্তু সত্যিকার অর্থে তাকে কেউ কখনও ভালোবেসেছিল কিনা আমার সন্দেহ আছে। কারণ স্টারদের স্টারডম সবাই ভালোবাসে। তার একাকিত্ব তাতে কমে না।’
অভিনেত্রী প্রসূন তার পোস্টে সালমানের মা ও স্ত্রীকে অভিযোগের কাঠগড়ায় তুলেছেন। অভিনেতাকে কেউ নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসেননি উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘তার (সালমান শাহ) মা (নীলা চৌধুরী) কিংবা বউ (সামিরা হক) কেউ আদৌ নিঃস্বার্থভাবে তার পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিল কিনা সন্দেহ। সফলতার চরমতম স্বাদ পাওয়ার পর তারা সব ছেড়ে চলে যায়। যারা অভিমানী।’
প্রসঙ্গত, ২৯ বছর পর সালমান শাহর হত্যা মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। গেল ২০ অক্টোবর এ আদেশের পরদিন ২১ অক্টোবর সালমানের মামা আলমগীর কুমকুম রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে সামিরা হককে প্রথম আসামি করা হয়।

