English

26.8 C
Dhaka
সোমবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫
- Advertisement -

সালমান শাহ ও শাবনূরের সম্পর্ক নিয়ে যা জানালেন সামিরা

- Advertisements -

ঢাকাই সিনেমার অমর নায়ক সালমান শাহ। সোহানুর রহমান সোহানের ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মধ্যদিয়ে ১৯৯৩ সালে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন ক্ষণজন্মা এই অভিনেতা। এতে তার বিপরীতে ছিলেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। এটি মৌসুমীরও প্রথম সিনেমা।

মাত্র ৪ বছরের ক্যারিয়ারে সালমান শাহ দর্শকদের উপহার দিয়েছেন ২৭টি সিনেমা। যার সবগুলো ছিল সুপারহিট। আর সালমানের বেশির ভাগ সিনেমার নায়িকা ছিলেন শাবনূর। ফলে চলচ্চিত্রপাড়ায় সালমান শাহ ও শাবনূরের প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায় সে সময়েই।

বিষয়টি সম্প্রতি কথা বলেছেন সালমান শাহর সাবেক স্ত্রী সামিরা খান। তিনি বলেন, ‘ইমন (সালমান শাহর ডাকনাম) এবং মৌসুমী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অভিনয় না করার। এই ঘটনার শুরু একটা সিনেমার শুটিং সেট থেকে। শুটিং এর সময়ে ছোট একটা বিষয় নিয়ে মৌসুমীর মা এবং ইমনের মায়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে ইমন ও মৌসুমী সিদ্ধান্ত নেয় তারা একসঙ্গে সিনেমা করবে না। এরপর আমরা নায়িকার সংকটের মধ্যদিয়ে যাই। তখন শাবনাজ এবং নাইম বিয়ে করেন। বিয়ের পর গুজব শুরু হয় শাবনাজ অভিনয় ছেড়ে দিবেন। তাই নতুন নায়িকা খুঁজতে হয়। পরে আমরা শাবনূরকে দেখার পর সিদ্ধান্ত নেই, ওর সঙ্গেই কাজ করা হবে।’

সালমান শাহ ও শাবনূরের প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে সামিরা বলেন, ‘এই বিষয়টা এত সহজে বলা যায় না। এর পেছনে অনেক বড় গল্প আছে। সেই গল্পটা আমি শুরু করলে শেষ করতে অনেক সময় লেগে যাবে। তবে সহজ প্রশ্নে কেউ যদি জানতে চায় সালমান শাহ এবং শাবনূরের মধ্যে কোনো সম্পর্ক ছিল কিনা তাহলে আমি এক বাক্যে বলব যে, হ্যাঁ তাদের সম্পর্ক ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই বিষয়টা জানার পর আমাদের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়। আমি রাগ করে আমার বাবার বাসাতেও চলে গিয়েছিলাম। ইমন আমাকে অনেক বুঝিয়েছে, মাফও চেয়েছিল। পরে আমাকে মানিয়ে নিয়ে আসে। আমি দুইমাস পর ঢাকায় আমাদের বাসায় ফিরে আসি। ইমন আমাকে বলেছিল, সে শাবনূরের সঙ্গে যে সিনেমাগুলোর চুক্তি আছে সেগুলো শেষ হলেই তার সঙ্গে আর কোনো সিনেমায় কাজ করবে না। এবং আমরা নতুন নায়িকা খুঁজব।’

প্রসঙ্গত, ঢাকাই সিনেমার নায়ক হওয়ার আগে সালমান শাহর ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল টেলিভিশন নাটক দিয়ে। ১৯৮৫ সালে বিটিভির ‘আকাশ ছোঁয়া’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয়ে যাত্রা শুরু করেন এই তুমুল জনপ্রিয় নায়ক। এরপর অভিনয় করেছেন ‘দেয়াল’ (১৯৮৫), ‘সব পাখি ঘরে ফেরে’ (১৯৮৫), ‘সৈকতে সারস’ (১৯৮৮), ‘নয়ন’ (১৯৯৫) এবং সবশেষ ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ (১৯৯৬) নাটকে।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/rcxk
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন