নাসিম রুমি: উপমহাদেশের প্রখ্যাত ও কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি উপহার দিয়েছেন অসংখ্য কালজয়ী গান, যার মাধ্যমে তিনি হয়ে উঠেছেন সংগীতজগতের জীবন্ত কিংবদন্তি। বর্তমান সময়ের সংগীত তৈরির প্রক্রিয়া নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন এই গুণী শিল্পী।
বিশেষ করে ‘অটো টিউন’ প্রযুক্তির ব্যবহার শিল্পীদের মৌলিকত্ব ও পরিশ্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে মনে করেন তিনি। রুনা লায়লা বলেন, ‘অটো টিউন দিয়ে এখন যে কেউ গান গাইতে পারে। সো, এটা বললেই আপনি বুঝতে পারবেন যে এটা আমার পছন্দ, না অপছন্দ।’
তিনি বলেন, ‘আমি যদি নিজের সুর ঠিক না রাখতে পারি, তাহলে তো আমার শিল্পী হওয়াই উচিত না। কারণ অটোটিউনে যদি সবকিছু করে দেয়, আমার সুরও ঠিক করে দিচ্ছে। আমার কোথায় কী সমস্যা আছে ঠিক করে দিচ্ছে, আমি একটা মুখ গাইলাম তারপর আর মুখ গাইলাম না, ওটাই লাগিয়ে দিল আগে-পিছে করে।’
কিংবদন্তি এই শিল্পী মনে করেন, প্রযুক্তির এই অতিরিক্ত ব্যবহার গানের আসল আবেগ ও স্বতঃস্ফূর্ততা (স্পন্টানিটি) নষ্ট করে দিচ্ছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘তাহলে তো জিনিসটা ওই স্পন্টানিটিটাও থাকে না, ওই ইমোশনও থাকে না।’
তার কথায়, ‘আমরা আগে যেরকম করতাম ফুল মিউজিশিয়ানদের নিয়ে একদম আমরা গান করতাম। সেই বিকেল ছটায় শুরু হলে পরের দিন সকাল ছটায় গিয়ে শেষ হতো। সব মিউজিশিয়ান সবার সাথে, একটা কেউ ভুল করলো তো আবার প্রথম থেকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেখা গেল অনেক সময় ১০১ টেক চলছে নাম্বার ১০১। তো যে খাটনিটা আমরা খেটেছি, এইটা তো এখন নেই। এখন স্টুডিওতে গেলাম, আমিও তো এখন গান করতে গেলে বলি, ‘আচ্ছা কী ট্র্যাক কী? আচ্ছা ঠিক আছে, ওকে চলো’।’
