নাসিম রুমি: হলিউডের সুপারস্টার টম ক্রুজ। পর্দা জীবনের মতো ব্যক্তি জীবনটাও তার দারুণ রোমাঞ্চে ভরপুর। তার প্রেমজীবন সবসময়ই আলোচনায় থাকে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার তিন সাবেক স্ত্রীকে ঘিরে এক অদ্ভুত কাকতালীয় তথ্য ভাইরাল হয়েছে।
ভক্তরা খেয়াল করেছেন, মিমি রজার্স, নিকোল কিডম্যান ও কেটি হোমস তিনজনই ৩৩ বছর বয়সে টম ক্রুজের সঙ্গে তাদের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন। অর্থাৎ, স্ত্রীদের ৩৩ বছর হলেই ভেঙে যায় টম ক্রুজের সংসার।
টম ক্রুজ ১৯৮৭ সালের মে মাসে প্রথম বিয়ে করেন অভিনেত্রী মিমি রজার্সকে। তিন বছরের মাথায় ১৯৯০ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। একই বছর ডিসেম্বর মাসে ক্রুজ বিয়ে করেন নিকোল কিডম্যানকে। টানা ১১ বছর সংসার করার পর ২০০১ সালে তাদের সম্পর্কের ইতি ঘটে।
এরপর ২০০৬ সালে তিনি বিয়ে করেন অভিনেত্রী কেটি হোমসকে। তার সঙ্গে কন্যা সুরি জন্ম নেয়। তবে এই সম্পর্কও টেকেনি টমের। ছয় বছর পর ২০১২ সালে বিচ্ছেদ ঘটে তাদের।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা লক্ষ্য করেন, তিনজন নারীই বিবাহবিচ্ছেদের সময় ছিলেন ৩৩ বছর বয়সে। উবার ফ্যাক্টস নামের একটি এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা হয়, ‘টম ক্রুজ তার তিন স্ত্রীর সঙ্গেই বিচ্ছেদ করেছেন যখন তাদের বয়স ছিল ৩৩। সিনেমার পর্দায় দুর্দান্ত সব ইম্পসিবল মিশনে সফল হলেও স্ত্রীদের ৩৩ বছর বয়সের ভয়টা কাটিয়ে উঠতে পারেননি টম ক্রুজ। এই পোস্ট ঘিরে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা এবং নানা রকম রহস্যময় তত্ত্বের জন্ম।
আলোচনায় আরও রঙ চড়ায় এই তথ্যটি যে৩৩ সংখ্যাটি সায়েন্টোলজি ধর্মে (যার অনুসারী টম ক্রুজ) একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ সংখ্যা হিসেবে বিবেচিত। শিনোজ নামের এক প্রকাশনায় বলা হয়েছে, সায়েন্টোলজির প্রতিষ্ঠাতা এল. রন হববার্ড ৩৩-কে বর্ণনা করেছেন ‘মানুষকে আলোকিত করার এবং তাদের ভাগ্যের পথে পরিচালিত করার প্রতীক’ হিসেবে।