English

30.8 C
Dhaka
শনিবার, জুলাই ১৯, ২০২৫
- Advertisement -

৪২ জনের মধ্যে একমাত্র নারী প্রার্থী লাজুক

- Advertisements -

৪২ জন প্রার্থীর মধ্যে এবার একমাত্র নারী প্রার্থী অভিনেত্রী, নাট্যকার ও নির্মাতা রাশেদা আক্তার লাজুক। বিগত নির্বাচনগুলোতে এমনটি দেখা যায়নি বললেই চলে। শুক্রবার (১০ মার্চ) ডিরেক্টরস গিল্ড’র নির্বাচন। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে।

সদা হাসিখুশি সহজ সরল এই মানুষটি এর আগেও নির্বাচিত হয়েছিলেন, অর্জন করেছিলেন সবার ভালোবাসা। সদস্যদের প্রতি ভালোবাসা এবং সংগঠনের জন্য কিছু একটা করার দায়বদ্ধতা থেকেই লাজুক এস এ হক অলিক-ফরিদুল হাসান প্যানেল থেকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন।

কেন নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন জানতে চাইলে লাজুক বলেন, ‘এবারই প্রথম নয়, এর আগেও ডিরেক্টরস গিল্ড’র কমিটিতে কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। পরে আর নির্বাচন করা হয়নি। তবে এবার উপলব্ধি করেছি আমার আবারো নির্বাচনে অংশ নেয়া উচিত। নির্মাতাদের উন্নয়ন, সংগঠনকে এগিয়ে নেয়া ও সার্বিক বিষয় বিবেচনা করেই আমি প্রার্থী হয়েছি। নির্মাতাদের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ চাই। পরিচালক হচ্ছে ক্যাপ্টেন অব দ্যা শিপ। সেই ক্যাপ্টেনই তো নিরাপদ গন্তব্যে নিয়ে যাবেন। সেই পরিচালকদের স্বার্থ সংরক্ষণ, সম্মান এবং কাজের স্বাধীনতার জন্য এ নির্বাচনে আসা। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। কারণ, সদস্যরা আমাকে ভালোবাসেন, তার প্রমাণ আমি বিগত দিনে পেয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার দৃষ্টিতে একজন পরিচালকই প্রকৃত হিরো। কাজের ক্ষেত্রে সকল শিল্পী ও কলাকুশলীরা নির্মাতার অলংকার মাত্র। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি আমরা সেই জায়গাটা হারিয়ে ফেলেছি। আমার শশুর চলচ্চিত্র নির্মাতা আমজাদ হোসেনসহ সে সময়ের গুণী নির্মাতারা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে দাপটের সাথে কাজ করত। আমি নির্বাচিত হলে সবাইকে সাথে নিয়ে নির্মাতাদের সেই অবস্থান ফিরিয়ে আনবো। আমার দর্শনে কোন নির্মাতা ছোট কোন নির্মাতা বড় হয় না। শুধু কন্টেন্টের পার্থক্য হয়। আমি পরিচালকের পূর্ন স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। সবাইকে সাথে নিয়ে সংগঠনকে এগিয়ে নেব।’

প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে চাষী নজরুল ইসলামের পরিচালনায় ‘আজকের প্রতিবাদ’ সিনেমার মাধ্যমে মিডিয়ায় পা রাখেন লাজুক। এরপর ধীরে ধীরে নিজেকে আজ প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

তবে জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করে তাকে খানিকটা বিরতি নিতে হয়েছিল। সেই বিরতি কাটিয়ে ফের অভিনয়ে ফিরেন তিনি। ছোট পর্দায় নাম লেখানোর পর এ মাধ্যমে বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

একটা বিরতির পর কাজ শুরু করেন টিভি মিডিয়ায়। সেই যে শুরু এখনো নির্মাণে নিয়মিত তিনি। বর্তমানে লাজুক পরিচালিত নির্মাণাধীন রয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘টু-লেট: বাসা ভাড়া হবে’। সম্প্রতি শেষ হয়েছে তার পরিচালিত তারকাবহুল ৩০৯ পর্বের ‘পরিবার’ ধারাবাহিক নাটকটি। এতে একঝাঁক তারকা শিল্পীরা অভিনয় করেছেন। নাটকটির জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও নাট্যকার হিসেবে পুরস্কৃতও হয়েছেন তিনি।

লাজুক বংলাদেশে একমাত্র নারী নাট্যকার, যার প্রায় আড়াই হাজার পর্বের মতো বিভিন্ন ধারাবাহিক প্রচার হয়েছে। অসংখ্য একক নাটক প্রচার হয়েছে। তার অধিকাংশ নাটকই দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। লাজুক দেশবরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা আমজাদ হোসেনের বড় সন্তান প্রযোজক, নির্মাতা ও অভিনেতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের সহধর্মণী।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/5g5n
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

ত্বক কেন ঝুলে পড়ে?

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন