English

29 C
Dhaka
বুধবার, জুন ১৮, ২০২৫
- Advertisement -

৫ বিয়ে, নিঃসঙ্গ মৃত্যু, কাজহীন ১৮ বছর: বলিউড ভিলেনের করুণ পরিণতি

- Advertisements -

বলিউডের এক সময়ের দুর্ধর্ষ ভিলেন। পর্দায় হুংকারে শত্রু কাঁপানো সেই মহেশ আনন্দের মৃতদেহ উদ্ধার হয় মৃত্যুর দুই দিন পর। জীবনের শেষ অধ্যায় কাটিয়েছেন নিঃসঙ্গতায়, কোনো আত্মীয় বা পরিচিতজনও ছিল না পাশে।

‘সানাম তেরি কাসাম’ ছবিতে ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার হিসেবে প্রথমবার পর্দায় দেখা যায় মহেশ আনন্দকে। অভিনয়ে সুযোগ আসে ১৯৮৪ সালে ‘কারিশ্মা’ ছবিতে। এরপর মডেলিং, ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্ট, লম্বা চুল আর ঘন গোঁফ—সব মিলিয়ে হিরো হবার স্বপ্ন ছিল। তবে প্রযোজকরা তাকে ভিলেন হিসেবেই বেছে নেন, আর তিনিও তা হাসিমুখে গ্রহণ করেন।

তার প্রথম দুই ছবির প্রযোজক বরখা রায় ছিলেন রীনা রায়ের বোন। বরখার সঙ্গেই প্রেম, তারপর বিয়ে। তবে বিচ্ছেদ ঘটে অল্প সময়েই। এরপর এরিকা মারিয়া, মধু মালহোত্রা, ঊষা বাচানি, এবং সর্বশেষ রাশিয়ান লানা—মোট পাঁচবার বিয়ে করেন তিনি। প্রতিবারই বিচ্ছেদ ঘটে।

অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে ক্রমেই নিঃস্ব হতে থাকেন মহেশ। বলিউডের ব্যস্ত জগতে জায়গা হারান তিনি। এক সময় অক্ষয় কুমারের সঙ্গেও এক পানশালায় ঝামেলায় জড়ান। শোনা যায়, একদল নারীর প্রতি কটূ মন্তব্য করলে অক্ষয় প্রতিবাদ করেন, সেখান থেকেই শুরু উত্তেজনা।

বছরের পর বছর কোনও সিনেমায় সুযোগ পাননি। দীর্ঘ ১৮ বছর ছিলেন পর্দার বাইরে। জীবনের শেষ দিকে দু’বেলা খাবার জোটাতে কষ্ট হতো।

২০১৯ সালে মুম্বাইয়ের নিজ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় তার মৃতদেহ। ময়নাতদন্তে জানা যায়, মৃত্যু হয়েছিল দুই দিন আগে। ঘরে ছড়িয়ে ছিল খাবার ও মদের বোতল। তিনি একাই ছিলেন। মৃত্যুর কারণ আজও স্পষ্ট নয়।

পরিবারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কেউ মরদেহ গ্রহণে আগ্রহ দেখায়নি।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন