English

29.3 C
Dhaka
রবিবার, জুলাই ১৩, ২০২৫
- Advertisement -

অনুব্রতকে ব্যঙ্গ করে কবিতা লিখলেন রুদ্রনীল

- Advertisements -

যাবতীয় জল্পনা-কল্পনায় ইতি ঘটিয়ে দোলপূর্ণিমার দিনই দিল্লির বিমানে উঠতে হল অনুব্রত মণ্ডলকে। তিন ইডি কর্মকর্তা এদিন ইউকে ভিস্তারা সেভেন থ্রি এইটে বিমানে এদিন জেলবন্দি তৃণমূল নেতাকে দিল্লি নিয়ে গেছেন। গরুপাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রতকে জোকা ইএসআই হাসপাতাল ফিট সার্টিফিকেট দিতেই আর বেশি দেরি করেনি ইডি। দিল্লিতে ‘বীরভূমের বাঘ’-এর জন্য প্রশ্নপত্র রেডি করে বসে রয়েছেন ইডি কর্মকর্তারা। এদিকে অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিয়ে প্যারোডি লিখে ফেললেন রুদ্রনীল ঘোষ।

গরু পাচার কাণ্ডে বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তারের পরেই একের পরে কটাক্ষের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন বিরোধীরা। সেই তালিকায় একদম উপরের দিকে থাকবেন বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ। আগেও অনুব্রতকে বিঁধে প্যারোডি লিখেছেন তিনি, দোলের দিনেও পিছিয়ে থাকলেন না।

রাজনৈতিক বিষয়কে ব্যঙ্গচ্ছলে উপস্থাপন করেন রুদ্রনীল, তাঁর ‘অনুমাধব’ সিরিজ তো বেশ জনপ্রিয়। সরাসরি তৃণমূল নেতার নাম না নিলেও তাঁর কটাক্ষের সব তীরের একমাত্র নিশানা অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর দিদি তা বুঝতে অসুবিধা হয় না কারুর। এবার ‘অনুমাধব ৩’ নিয়ে আসলেন রুদ্রনীল।

রুদ্রনীলের কথায়, ‘অনুমাধব… গুড়বাতাসায় পিঁপড়ে এখন, নকুল দানায় মাছি। মুখ খুলে কেউ বলছে না আর তোমায় ভালোবাসি…. চেষ্টা তো আর কম হয়নি, আটকে তোমায় দিতে, কপাল খারাপ মাপতে কী আর লাগে ফুটের ফিতে! কম জ্বালাতন করোনি তো কয়েক বছর ধরে, হুঙ্কার আর গলাবাজি সবার মনে পড়ে। মেরে চামড়া গুটিয়ে দেব, শুঁটিয়ে করব লাল, কাঁচা কেসে ফাঁসিয়ে দেব, কত্ত গালাগাল’। অনুব্রত মণ্ডলের অসুস্থতাকেও ‘নাটক’ বলেই বিঁধলেন রুদ্রনীল। অভিনেতা সুর করে বললেন, ‘অসুখ খোঁজা ঠেলায় ফাঁসলো অন্ডকোষ’।

বাদ গেলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায়ও। রুদ্রনীলের প্রশ্ন, ‘তোমায় কেন এমনভাবে দিদির আগলে রাখা? কোটি কোটির চুরির কারণ চাইছে দিতে ঢাকা? এতো কেলেঙ্কারি পরেও তিনি বলল তোমায় বীর, তুমিই নাকি বাংলার বাঘ!’ অনুব্রতকে সচেতন করে রুদ্রনীলে জানান, ‘খেলা শেষ!’ দিল্লিতে ফুল-মালা হাতে তাঁকে বরণ করার জন্য প্রস্তুত মামারা (পড়ুন ইডি আধিকারিকরা)।

ব্যঙ্গের সুরে রুদ্রনীল বলেন, বাংলার কয়লা আর গরু অনুব্রতকে বেজায় মিস করবে। সঙ্গে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, গ্রেপ্তারির পর অন্তত মামাদের সব খুলে বলো। মাছের ল্যাজাটা তিনি খেয়েছেন। কিন্তু মুড়োটা খেল কে? আর চেপে রেখে লাভ হবে না। রুদ্রনীলের কথায়, ‘চড়াম চড়াম ঢাক বাজিও, হোক না তারাও জবাই’। সবশেষে কালীঘাটের তরফে ‘ফ্লাইং কিস’ পাঠাতেও ভোলেননি রুদ্রনীল।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/vv8l
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন