নাসিম রুমি: বসুন্ধরা সিনেমাটি নির্মাণ করেছিলেন পরিচালক সুভাষ দত্ত। নায়ক হিসেবে ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রথম সিনেমা এটি। নায়িকা ছিলেন ববিতা।
এরপর জুটি হয়ে তারা অনেক কাজ করেছেন। ববিতার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্মিত চলচ্চিত্রেও নায়ক হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
ইলিয়াস কাঞ্চন লন্ডনে চিকিৎসাধীন। আর ববিতা বর্তমানে আছেন কানাডায়। সেখান থেকে নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
স্মৃতিচারণ করে ববিতা বলেন, ‘একদিন হঠাৎ কর সুভাষ দাদা বললেন “বসুন্ধরা” নামে একটি সিনেমা করছি, নতুন একজন নায়ক নেবো। তার নাম ইলিয়াস কাঞ্চন। সেই প্রথমবার তার নাম শুনলাম। ততদিনে আমার অনেকগুলো সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, পরিচিতি এসেছে। যাইহোক, সিনেমার কাজ শুরু করি। ইলিয়াস কাঞ্চনের সেই প্রথম সিনেমার নায়িকা আমি।’
তিনি বলেন, ‘সিনেমাটি মুক্তির পর দর্শকদের কাছে প্রশংসিত হলো। এরপর এক এক করে আমি ও ইলিয়াস কাঞ্চন অনেক সিনেমায় জুটি হিসেবে অভিনয় করেছি। পরিচালক আমজাদ হোসেনের “সুন্দরী” সিনেমাতেও আমরা একসঙ্গে অভিনয় করেছি।’
নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সিনেমায়ও ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিয়েছেন উল্লেখ করে ববিতা বলেন, ‘আমাদের কাজ দর্শকপ্রিয়তাও পেয়েছে, ব্যবসা সফলও হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সিনেমার বাইরেও পারিবারিক একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছে আমাদের মাঝে। সুন্দর সম্পর্কটা এখনো আছে। আমার দেখা একজন ভালো মানুষ ইলিয়াস কাঞ্চন। শিল্পী হিসেবে যেমন বড় মাপের, মানুষ হিসেবেও অনেক ভালো। সামাজিক ভাবেও সবার কাছে তিনি গ্রহণযোগ্য মানুষ। মানুষের জন্য নিবেদিতপ্রাণ তিনি।’
ইলিয়াস কাঞ্চনের অসুস্থতার খবরে ‘মর্মাহত’ ববিতা। বলেন, ‘প্রার্থনা করছি তিনি সুস্থ হয়ে উঠুন। সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করছি মন থেকে। তার হাসি মুখ দেখতে চাই।’
‘একটা জীবন তিনি সিনেমার জন্য দিয়ে গেছেন। পাশাপাশি মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। বিশেষ করে সড়ক নিরাপদ রাখতে তিনি গড়ে তুলেছেন সংগঠন “নিরাপদ সড়ক চাই”। তার সন্তানেরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। বাবার অসুখের সময় সন্তানরা পাশে আছে। তাদের জন্যও অনেক দোয়া রইল,’ যোগ করেন তিনি।