একঝাক তারকা নিয়ে বৈশাখী টিভিতে শুরু হচ্ছে নতুন কমেডি ধারাবাহিক ‘গিট্টু’। ১৯ আগস্ট থেকে সপ্তাহে তিন দিন মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার রাত ৯.২০ মিনিটে প্রচার হবে এ নতুন ধারাবাহিকটি। সুস্ময় সুমনের রচনা ও রুমান রুনির পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন, আবদুল্লাহ রানা, শারাফ আহমেদ জীবন, নাজিয়া হক অর্ষা, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, সেমন্তী সৌমি, সাদ্দাম মাল, হোসাইন নীরব, শবনম পারভীন, রেশমা আহমেদ, জান্নাত সূচি, সিদ্দিক মাস্টার, কামরুন নাহার রুমা, শামীম আহমেদ মনা, ঊর্মী আহমেদ, পরিচালক রুমান রুনিসহ আরো অনেকেই।
বৈশাখী টিভি প্রযোজিত নাটকটির সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছেন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন। চিত্রগ্রহণে রফিকুল ইসলাম, শামসুল ইসলাম লেলিন, সঙ্গীত পরিচালনা করছেন মোহাম্মদ আপেল মাহমুদ এমিল।
নাটকের কাহিনী সম্পর্কে বলতে গিয়ে সুস্ময় সুমন বলেন, খন্দকার পরিবার আর মির্জা পরিবার। দুই পরিবারের প্রধান একসময় বন্ধু ছিল। একসঙ্গে ব্যবসা করতে গিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়, যাকে নাটকের ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয়, গিট্টু লাগে। সেই গিট্টু আর খোলে না। এখন দুই পরিবারের কেউ কাউকে দেখতে পারে না। খন্দকারের মেয়ে মিতা আর মির্জার ছেলে রাতুল দুজন দুজনের চোখের বিষ। কিন্তু দেখা যায় কে বা কারা যেন এলাকার দেয়ালে ভালোবাসার চিহ্ন দিয়ে তাদের দুজনের নাম লিখে রাখে। ধরা যাক রাতুল+মিতা। এটা দেখে রাতুল ক্ষেপে যায়। মিতা মেয়ে হলেও গুন্ডা প্রকৃতির। সে লাঠিসোটা নিয়ে রাতুলকে আক্রমণ করতে যায়। কিন্তু রাতুলকে না পেয়ে তার চামচাদের গিয়ে মেরে আসে।
এই খবর শুনে রাতুল গিয়ে আবার মেরে আসে খন্দকারদের বাসা খুঁজে বেড়াচ্ছে, এমন একজনকে। শুধু মারেই না, তাকে আন্ডারওয়্যার পরিয়ে খালি গায়ে ছেড়ে দেয়। এর ফলে লেগে যায় আরেক গিট্টু।
খন্দকার প্রধান বন্দুক নিয়ে মির্জা প্রধানকে আক্রমণ করেন। কিন্তু বন্দুক বেশি পুরনো হওয়ায় তা থেকে গুলি বের হয় না। এ যাত্রা বিরাট এক গণ্ডগোল থেকে মুক্তি মেলে দুই পরিবারের।
খন্দকার আর মির্জা পরিবারে দুই দারোয়ান আছে বকুল আর মুকুল। এরা আবার সম্পর্কে আত্মীয়। কিন্তু কীভাবে যেন দুজন দুই শত্র“ পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে। তাদের মাঝে প্রায়ই কথা কাটাকাটি করতে গিয়ে মারামারি লেগে যায় এবং তখন তারা দুজন দুজনকে ধরে বেশ কিছুক্ষণ মাটিতে গড়াগড়ি করে। পরে উঠে দাঁড়িয়ে শরীর থেকে ধুলা ঝেঁড়ে জানায়, আত্মীয় বলে তারা দুজন দুজনকে এবারের মতো ছেড়ে দিল। তা নাহলে আজ একটা খুন হয়েই যেত। যদিও সেই খুন আর কখনোই হয় না। এভাবেই গল্পের প্রয়োজনেই হাজির হয় একের পর এক চরিত্র। যা নানা হাস্যরস আর মজার মজার ঘটনা উপস্থাপন করে।
সুস্ময় সুমন আরো বলেন, আসলে মির্জা এবং খন্দকার পরিবারকে মিলিত করতে চায় মিতা ও রাতুল। তারা দুজন দুজনকে ভালোবাসে। কিন্তু পরিবারকে দেখানোর জন্য তারা শত্র“ হিসাবে নানা রকম কর্মকাণ্ড করতে থাকে, যা দেখে দর্শক কিছুটা হলেও বিনোদন পাবে বলে আমার বিশ্বাস।