নাসিম রুমি: কলকাতার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’ থেকে আলোচনায় আসা গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেল মিডিয়া জগতে পা দেয়ার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে আলোচনায় ছিলেন। কখনও গানের অনুষ্ঠানে চুক্তিভঙ্গ, কখনও একাধিক বিয়ের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সব ছাপিয়ে সম্প্রতি নারী নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন এই গায়ক। ঢাকার ডেমরার সারুলিয়ার আমতলার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
উঠতি এই সংগীতশিল্পীর বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকা দীর্ঘ, যা তার পেশাগত ও ব্যক্তিগত—উভয় ক্ষেত্রেই বিস্তৃত। ইতিপূর্বে, প্রায় দুই বছর আগে প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অগ্রিম টাকা নিলেও অনুষ্ঠানে যাননি। এ ঘটনায় ২০২৩ সালে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
এছাড়াও ২০২৩ সালেই আবারও আলোচনায় আসেন নোবেল, যখন গোপনে বিয়ে করেন খুলনার ফুড ব্লগার ফারজানা আরশিকে। সামাজিক মাধ্যমে ছবি ও পোস্ট দিয়ে বিয়ের খবর জানান নোবেল নিজেই। ফারজানার এটি ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। তার আগের স্বামী ছিলেন ফুড ব্লগার নাদিম আহমেদ। তবে তাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়েছিল কিনা, তা সেসময় পরিষ্কার হয়নি। এর আগে, ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর সালসাবিল মাহমুদকে বিয়ে করেছিলেন নোবেল। কিন্তু ২০২৩ সালের মে মাসে মাদকাসক্তির কারণে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।
সবশেষ, গত ১৯ মে রাতের ঘটনা আবারও নোবেলকে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ ডেমরার সারুলিয়ার আমতলায় তার বাসা থেকে এক নারীকে উদ্ধার করে। পরে সেই নারী থানায় মামলা করেন, যার ভিত্তিতে রাত দুইটার দিকে ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।