নাসিম রুমি: বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। ২০২২ সালের শেষ লগ্নে অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার ঘোষণা দেন। ৩৫ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে আকস্মিকভাবে বিরতি নেওয়ার ঘোষণায় চমকে যান তার ভক্তরা। এক বছর বিরতি নিয়ে ‘সিতারে জমিন পার’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে ফিরেন আমির। গত ২০ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সিনেমাটি।
‘সিতারে জমিন পার’ মুক্তির পর রজনীকান্তের ‘কুলি’ সিনেমায় ক্যামিও চরিত্রে দেখা যায় আমির খানকে। এরপর কোনো সিনেমায় যুক্ত হননি এই তারকা। তবে চলতি বছরে বেশ কিছু বড় বাজেটের সিনেমার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন এই অভিনেতা। এসব সিনেমা নিয়েই এই প্রতিবেদন—
ভামসি পায়দিপল্লীর প্রজেক্ট নতুন একটি সিনেমা নির্মাণের মিশনে নেমেছেন তামিল সিনেমার পরিচালক ভামসি পায়দিপল্লী। এটি প্রযোজনা করছেন দিল রাজু। নাম ঠিক না হওয়া এ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য আমির খানের সঙ্গে আলোচনা করেন নির্মাতারা। প্রজেক্টটি ঘোষণা করার জন্য প্রায় প্রস্তুত ছিল। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার ঠিক আগে আমির খান সরে দাঁড়ান। জানা গেছে, এ সিনেমার চিত্রনাট্য এখন সালমান খানের কাছে পাঠানো হয়েছে। সিনেমাটির প্রস্তাব আমির কেন ফিরিয়ে দেন, তা অবশ্য পরিষ্কার নয়। তবে ভেতরের খবর অনুযায়ী, গল্পের উপরে পুরোপুরি ভরসা করতে পারেননি আমির খান।
লোকেশ কঙ্গরাজের সুপারহিরো ‘কুলি’ সিনেমায় ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেন আমির খান। এ সিনেমার পর আমির খানকে নিয়ে পরিচালক লোকেশ কঙ্গরাজের সঙ্গে বড় একটি সুপারহিরো সিনেমা করার পরিকল্পনা করেন। লোকেশ কঙ্গরাজের এটি প্রথম হিন্দি সিনেমা হওয়ার কথা ছিল। অ্যাকশন ঘরানার সিনেমাটি বিশাল বাজেটে নির্মাণের পরিকল্পনা করেন। কিন্তু ‘কুলি’ সিনেমার দুর্বল প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পর আমির খান প্রজেক্টটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন। এতে করে ভক্তরা হতাশ হয়েছেন। কারণ ভক্তরা আমিরকে সুপারহিরো রূপে দেখতে আগ্রহী ছিলেন।
দাদাসাহেব ফালকের বায়োপিক দাদাসাহেব ফালকের বায়োপিক থেকে আমির খানের সরে দাঁড়ানোর ঘটনা ছিল সবচেয়ে বড় চমক। এটি পরিচালনা করবেন রাজকুমার হিরানি। ‘থ্রি ইডিয়টস’, ‘পিকে’ সিনেমার পর একসঙ্গে এটি তাদের তৃতীয় প্রজেক্ট। সূত্রমতে, চূড়ান্ত চিত্রনাট্য নিয়ে আমির খান ও রাজকুমার হিরানি সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাদের মতে, গল্পটিতে আবেগের গভীরতা এবং স্বাভাবিক হাস্যরসের অভাব ছিল।
আমিরের পরবর্তী পরিকল্পনা আমির খান এখন পর্যন্ত প্রায় ২০টির মতো চিত্রনাট্য পর্যালোচনা করেছেন। ২০২৬ সালের শুরুর দিকে তার পরবর্তী সিনেমা ঘোষণা করার পরিকল্পনা আছে। পারফেকশনিস্ট ভাবমূর্তির প্রতি সৎ আচরণের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তিনি। আমির খান ততক্ষণ পর্যন্ত বড় পর্দায় ফিরতে চান না, যতক্ষণ না এমন একটি গল্প পান, যা তাকে সত্যিই উচ্ছ্বসিত করে এবং দর্শকদের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করতে পারে।
