ক্যাটরিনা কাইফ, আজকের বলিউডের অন্যতম এক অভিনেত্রীর নাম। ২০০৩ সালে ‘বুম’ সিনেমা দিয়ে এ অভিনেত্রী তার বলিউডে অভিষেক করেছিলেন এবং তারপর থেকে তিনি আর থামেননি। তবে, জানেন কী, ‘নমস্তে লন্ডন’ দেখার পর ক্যাটরিনা একবার অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন?
সম্প্রতি করণ জোহরের বিখ্যাত চ্যাট শো ‘কফি উইথ করণ’-এ এমন তথ্য জানিয়েছেন।
ক্যাটরিনা বলেন, ‘আমি যখন প্রথম সিনেমাটি দেখি তখন বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। বিপুল (পরিচালক) আমাকে ছবিটি দেখিয়ে বলেছিলেন, ‘তোমার কী মনে হয়?’ আমি তাকে আর ফোন করিনি। জানেন, যখন একজন পরিচালক অভিনেত্রীকে একটি ছবি দেখান, তখন আপনাকে তাকে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাই, দরজা বন্ধ করে দিই এবং তাকে ফোন করা থেকে বিরত থাকি।’
পরে, তার সহকারী তাকে ফোন করে বলেন যে বিপুল (পরিচালক) সত্যিই বিরক্ত ছিলেন। কারণ, সিনেমার নায়িকা তাকে তার প্রতিক্রিয়া জানাননি। ‘আমি তাকে ফোন করে বললাম, ‘হাই, বিপুল।’ তিনি বললেন, ‘তোমার কী মনে হয়?’ আমি বললাম, ‘চমৎকার, খুব সুন্দর ছবি। ঠিক আছে, বিদায়’- ক্যাটরিনা বলেন।
অভিনেত্রী জানান, তিনি মনে করেন সিনেমাটি তার ক্যারিয়ারের ইতি টানবে। তিনি বলেন, ‘আমি ভাবতাম, মানুষ আমাকে পছন্দ করবে না, তারা সিনেমাটি দেখবে না। এটা আসলে মানসিক বিপর্যয় ছিল। ভাবতাম বলিউডে পথচলা শেষ আমার। ওই সময় আমি আমার জিনিসপত্র গুছিয়েও নিয়েছিলাম এবং আমি একটি নতুন ক্যারিয়ার খুঁজার পরিকল্পনা করে ফেলেছিলাম।’
শেষ পর্যন্ত ক্যাটরিনাকে অবশ্য বিদায় নিতে হয়নি। ‘সালাম নমস্তে’ বক্স অফিসে বিরাট সাফল্য পেয়েছিল এবং এটি তাকে হতবাক করে দিয়েছিল।
ক্যাটরিনা বলেন, ‘এটা সত্যিই চমৎকার ছিল, আমার জন্য সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ আমি মনে করি এটি মানুষের ধারণা বদলে দিয়েছে। সিনেমাটি মুক্তির পর প্রথমবার এতো ফোন পেয়েছি, যা আমাকে অবাক করে দিয়েছে। এমনকি ইন্ডাস্ট্রি থেকেও। পরিচালকরা আমাকে বলেছেন ‘তুমি সিনেমাটিতে বেশ ভালো অভিনয় করেছ’, এটা আমাকে পরের ক্যারিয়ার গড়ার রসদ তৈরি করে দিয়েছে।’
‘নমস্তে লন্ডন’র পর, ক্যাটরিনা কাইফ বেশ কয়েকটি ব্লকবাস্টার সিনেমায় অভিনয় করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘ওয়েলকাম’, ‘এক থা টাইগার’, ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’, ‘জব তক হ্যায় জান’।
এদিকে কাজের সূত্রে এ অভিনেত্রী ফারহান আখতারের বহুল প্রতীক্ষিত পরিচালনায় আলিয়া ভাট এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে স্ক্রিন স্পেস শেয়ার করতে প্রস্তুত। ‘জি লে জারা’ নামে এ সিনেমাটি একটি রোড-ট্রিপ ড্রামা, যা প্রথমবার তিনজন পাওয়ারহাউস অভিনেত্রী একত্রিত করার জন্য আলোচনার জন্ম দিয়েছে।