নাসিম রুমি: যার এক হাসিতেই কুপোকাত সবাই, বলিউডের জনপ্রিয় সেই লাস্যময়ী অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের আজ জন্মদিন। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ৫৭ বছরে পা রাখলেন বলিউডের ‘ধক ধক গার্ল’। তবে ৬০ ছুঁই ছুঁই বয়সেও মাধুরী তার সৌন্দর্যে দিব্যি হার মানাতে পারেন যেকোনো বলিউড তারকাকেই।
১৯৬৭ সালের ১৫ মে মহারাষ্ট্রে মারাঠী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন লাস্যময়ী এই তারকা। তার বাবার নাম শঙ্কর দীক্ষিত ও মা স্নেহলতা দীক্ষিত। তাদের পরিবার মুম্বাই শহরের আদি বাসিন্দা। ১৯৮৪ সালে নাট্যধর্মী সিনেমা ‘অবোধ’-এর হাত ধরে বলিউডে অভিষেক হয় মাধুরীর।
বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান নন মাধুরী। তার দুই বোন ও ভাইও রয়েছে। অভিনয় ছাড়াও মাধুরী প্রশিক্ষিত নৃত্যশিল্পী। মাত্র তিন বছর বয়স থেকেই নাচ শিখতেন তিনি। তারপর ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন প্রশিক্ষিত ও পেশাদার কত্থক নৃত্যশিল্পী।
আন্ধেরির ডিভাইন চাইল্ড হাইস্কুলে মাধুরী শিক্ষা অর্জন করেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি নাটকের মতো অতিরিক্ত পাঠ্যক্রমিক কার্যকলাপে অংশ নেন। একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় মাধুরী ভিলে পার্লের (মুম্বাই) সাথায়ে কলেজে ভর্তি হন। সেখানে বিএসসিতে মাইক্রোবায়োলজি বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। তবে কোর্স শুরু করার ছয় মাস পরই মাধুরী পড়াশোনা বন্ধ করে চলচ্চিত্রে পূর্ণকালীন ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে সম্পূর্ণভাবে অভিনয়ে মনোনিবেশ করেন মাধুরী। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই তিনি ভাবছিলেন নতুন কী করা যেতে পারে। এরই মাঝে রাজশ্রী প্রোডাকশনের ‘অবোধ’ সিনেমার জন্য নতুন মুখ খোঁজা হচ্ছিল। আর সেখানেই সুযোগটা পেয়ে যান তিনি।
ব্যক্তিগত জীবনে মাধুরীর স্বামী শ্রীরাম নেনে পেশায় একজন চিকিৎসক। স্বামীর কর্মসূত্রেই দীর্ঘ দিন বিদেশে কাটিয়েছেন অভিনেত্রী। সেই সময় সম্পূর্ণ সংসারেই মনোনিবেশ করেছিলেন তিনি। দম্পতির দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। তাদের নাম অরিন ও রায়ান।
এদিকে মাধুরী দীক্ষিত তার অভিনয় ক্যারিয়ারে ৬টি ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ২০০৮ সালে তাকে ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রীতেও সম্মানিত করা হয়।