নাসিম রুমি: দীপিকা পাড়ুকোন এবং রণবীর কাপুর নিঃসন্দেহে বলিউডের সবচেয়ে সফল অন-স্ক্রিন জুটিদের মধ্যে একটি। কিন্তু বাস্তব জীবনে তাদের প্রেম একসময় হিট সিনেমার চেয়ে বেশি আলোড়ন তুলেছিল। দীপিকা রণবীরের সঙ্গে সম্পর্কের জন্য তার সর্বস্ব উৎসর্গ করেছিলেন।
‘বাচনা অ্যায়ে হাসিনো’ সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করার সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্পর্ক এতই মধুর ছিল যে, প্রেমিককে খুশি করতে দীপিকা নিজের ঘাড়ে রণবীরের নামে (আরকে) একটি ট্যাটুও করেছিলেন। দুজনার বিচ্ছেদের পর দীপিকা পাড়ুকোন তার ট্যাটু নিয়ে কোনো অনুশোচনা করেননি এবং দীর্ঘ সময় সেটি রেখেছিলেনও। শত চেষ্টা করেও প্রাক্তন প্রেমিককে ‘প্রতারক’ বলতে পারেননি এ বলিউড অভিনেত্রী।
যদিও রণবীরের অন্ধকার দিক প্রকাশ্যে আনেন তার আরেক প্রেমিকা সোনম কাপুর। রণবীরকে ‘ভয়ংকর প্রেমিক’ বলেই সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন প্রাক্তন প্রেমিকা সোনম। তবে এক্ষেত্রে দীপিকা ছিলেন একেবারেই নমনীয়। বিশ্বাস নষ্ট হয়েছে বলে শরীরও নষ্ট করার পক্ষপাতী ছিলেন না তিনি। ভালোবাসার প্রতীক ধরে রেখেছিলেন বহুদিন। তবে দীপিকার এই ট্যাটুকে সোনম উল্লেখ করেছেন ‘যুদ্ধের দাগ’ হিসাবে।
অন্যদিকে নিজ শরীরে প্রেমিকের নামে ট্যাটু এঁকে দীপিকা যে রণবীরের প্রতি ভালোবাসার গভীরতা দেখিয়েছেন তাতে মোটেও আগ্রহ ছিল না রণবীরের। যদিও তিনি করন জোহরের ‘কফি উইথকরণ’ অনুষ্ঠানের এক পর্বে হাজির হয়ে প্রাক্তন সঙ্গী দীপিকা পাড়ুকোনকে সাহসী বলে সম্বোধন করেন।
করণ জোহর তাকে জিজ্ঞেস করেন, দীপিকার ট্যাটুটি সরানোর ‘কোনো পরিকল্পনা’ নেই, সে সম্পর্কে তার অনুভূতি কেমন।
উত্তরে রণবীর বলেন, ‘এটা তার ইচ্ছা। আমি বলতে চাইছি যে, আমরা যখন সম্পর্কে ছিলাম তখন সম্ভবত সে এটি করেছিল। আমি এই পাগলামি সমর্থন করি না, তবে এটি তার পছন্দ ছিল। আমার মনে হয় সে এটি করার জন্য যথেষ্ট সাহসী ছিল এবং আমি মনে করি সে এখনো যথেষ্ট সাহসী।’