নাসিম রুমি: বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে এক অমর নাম সালমান শাহ। মাত্র চার বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়ে কোটি দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি।তবে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তার আকস্মিক মৃত্যু এখনো রয়ে গেছে রহস্যে ঘেরা। ভক্তদের দাবি সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু একাধিক তদন্তে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলা হয়েছে।
এদিকে, ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট এদিন ছিল সালমান শাহ-সামিরার বিবাহবার্ষিকী। বিবাহবার্ষিকীতে সালমান শাহ স্ত্রী সামিরাকে নিয়ে নেপালে ঘুরতে যান। সেখানে একটি পাঁচতারা হোটেলে ওঠেন।
সেই হোটেলেই ছিলেন শাহরুখ খান। শাহরুখ স্ত্রী গৌরীকে সঙ্গে করে হাতে ফুল নিয়ে সালমান শাহর রুমে আসেন- সালমানের আলোচিত ছবির পেছনের গল্পটা এমনই। সালমানের একটি ঘনিষ্ঠসূত্র এমনটিই জানা গেছে।
১৯৯৫ সালে সালমানের কাছ থেকে ছবিটি সংগ্রহ করে প্রথম প্রকাশ হয় দেশের একটি দৈনিক পত্রিকা। সেখানেই ছবির পেছনের গল্পও রয়েছে।
সূত্রের ভাষ্য মতে, বিবাহবার্ষিকীতে সালমান শাহ স্ত্রী সামিরাকে নিয়ে নেপালে যান। সেখানের একটি পাঁচতারা হোটেলে ওঠেন। সেদিন হোটেলে লোকজন কম ছিল। সালমান শাহ হোটেলের ম্যানেজারকে বললেন, আজ রাত ৯টা পর্যন্ত যতজন ডিনার করবে সব বিল আমি দেব। তখন ম্যানেজার জিজ্ঞেস করেন, আপনি দেবেন কেন? সালমান সে সময় বলেন, আজ আমাদের বিবাহবার্ষিকী, আমি বাংলাদেশের সুপারস্টার। এই বিশেষ দিনে বিল আমি দেব।
সূত্রটি বলছে, ওই হোটেলে ছিলেন শাহরুখ খান। তিনি স্ত্রী গৌরীকে নিয়ে ডিনার করতে গিয়ে জানতে পারেন এই ডিনার একজন করাচ্ছেন, তিনি বাংলাদেশের চিত্রনায়ক সালমান শাহ। তিনি আরও জানতে পারেন আজ তার বিবাহবার্ষিকী। শাহরুখ ডিনার করেন। ডিনার শেষে ম্যানেজারের কাছ থেকে সালমানের রুম নম্বর জেনে নেন, এরপর ফুল নিয়ে তার রুমে হাজির হন। সালমান বিস্মিত হন। পরে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর ছবি তোলেন তারা। সালমান ও শাহরুখের মধ্যে সে সময় সিনেমা নিয়েও কথা হয়। এবং দুজনে মিলে একটি সিনেমা করার কথাও হয়েছিল।
শোনা যায়, ২০১০ সালে শাহরুখ খান প্রথমবার ঢাকায় এসে আর্মি স্টেডিয়ামে সালমান শাহর সঙ্গে সিনেমা করার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলেন।
