নাসিম রুমি: বড় বাজেটের সিনেমাগুলো মুখ থুবড়ে পড়ছে ভারতে। চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতাদের কপালে। বলিউড তারকা অজয় দেবগন সম্প্রতি সেই চিন্তার সূত্র ধরেই মন্তব্য করেছেন—সিনেমার ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
বলিভাইজাখ্যাত অভিনেতা সালমান খানের ‘সিকান্দার’ গত ৩০ মার্চ মুক্তি পায়। বিগ বাজেটের সিনেমা হলেও সেভাবে সাফল্যের মুখ দেখতে পারেনি সিনেমাটি। শুধু এটি নয়, সম্প্রতি বিগ বাজেটের বহু সিনেমার ঘটনা প্রায় একই রকম। মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘রেইড ২’ সিনেমার ট্রেলার প্রকাশের অনুষ্ঠানেও এসব প্রসঙ্গ উঠে আসে।
‘রেইড ২’ সিনেমার ট্রেলার উন্মোচনে উপস্থিত ছিলেন বলিউড তারকা অজয় দেবগন। তিনি বলেন, ‘হিন্দি সিনেমার ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা সবাই চিন্তিত। মানুষের রুচি বুঝতে এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। ঠিক কেমন সিনেমা মানুষ দেখতে পছন্দ করবে, এটাই বোঝা যাচ্ছে না। মহামারি পরবর্তী সময় থেকেই এ সমস্যাটি তৈরি হয়েছে।
অজয় বলেন, ‘দর্শকরা কোন সিনেমাটি দেখতে পছন্দ করবেন, আর কোনটি করবেন না, সেটাই আমরা বুঝতে পারছি না। এ সমস্যা শুধু হিন্দি সিনেমার ক্ষেত্রে নয়, গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সমস্যা। তিনি বলেন, আমরা নিজেদের পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি এবং সব পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। কোথায় সমস্যা হচ্ছে, সেসব বের করার চেষ্টা করছি।
দর্শক হলে সিনেমা দেখতে আসছেন না, সেটি কি টিকিটের অতিরিক্ত দামের জন্য?—এমন প্রশ্নে অভিনেতা বলেন, আমার মনে হয় না টিকিটের দামের কোনো প্রভাব এটা। যে দর্শকরা সিনেমা দেখতে আসছেন, তারা কিন্তু ওই একই দামের টিকিট কেটে আসছেন। আসলে দর্শকরা অনেক ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তারা কোন সিনেমা দেখবেন আর কোনটা দেখবেন না।
অজয় বলেন, দর্শকরা এখন ভালো কনটেন্ট চান। যদি কোনো সিনেমার ট্রেলার বা টিজার মানুষের ভালো লাগে, যদি কোনো সিনেমার গান মানুষের পছন্দ হয়, তাহলে সেই সিনেমাটি অবশ্যই দর্শকরা দেখতে আসবেন। একটি সিনেমা চলবে কি চলবে না তা অনেকটা নির্ভর করে ট্রেলারের ওপর। ট্রেলার যদি ভালো হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে সেই সিনেমা দেখবে মানুষ।
প্রসঙ্গত, ‘রেইড’ মুক্তির সাত বছর পর বড়পর্দায় আসছে ‘রেইড ২’। এতে অজয় দেবগন ছাড়াও অভিনয় করেছেন রিতেশ দেশমুখ, বাণী কাপুর, সৌরভ শুক্লা প্রমুখ।