English

34 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
- Advertisement -

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হলো ৪ সাদা বাঘ

- Advertisements -

শফিক আহমেদ সাজীব: চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘ দম্পতি রাজ-পরীর সংসারে জন্ম নেয়া ৪টি সাদা বাঘ শাবককে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এখন চিড়িয়াখানায় যাওয়া দর্শকদের বাড়তি পাওনা বিরল প্রজাতির এই চারটি বাঘ শাবক। শাবকগুলোর নামকরণ করা হয়েছে বাংলাদেশের চারটি নদ-নদীর নামে। তা হলো পদ্মা, মেঘনা, সাঙ্গু ও হালদা।

বিশ্বে ‘হোয়াইট টাইগার’ বিরল। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় একটি সাদা বাঘ ছিল। ৩০ জুলাই রাজ-পরীর সংসারে চার শাবকের জন্ম হয়। এ নিয়ে সংখ্যা ৫-এ দাঁড়িয়েছে। তবে এর আগে দক্ষিণ এশিয়ায় একসঙ্গে চারটি সাদা বাঘের জন্মের রেকর্ড আগে রয়েছে কিনা তা নিয়েও চলছে আলোচনা। তাই সাদা বাঘ ঘিরে একধরনের উচ্ছ্বাস ছিল দেশজুড়ে।

২৯ আগস্ট ২০২২ সোমবার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডাঃ শাহাদাত হোসেন শুভ জানান, বাঘ দম্পতি রাজ-পরীর সংসারে চারটি সাদা শাবক যাতে দর্শনার্থী দেখতে পারে এ জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। তাদের একমাস যাবত বাঘিনী পরীর সঙ্গেই রাখা হয়েছিল। চারটি শাবকদের মধ্যে একটি নারী বাকিরা পুরুষ।

২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে একজোড়া বাঘ আনা হয়েছিল। সেই বাঘ দম্পতির ঘরেই প্রথম সাদা বাঘের জন্ম। এখন এই চারটি শাবকসহ মোট বাঘের সংখ্যা ১৬টি। যার মধ্যে ১০টিই রাজ-পরী দম্পতির। চারটি শাবককেই দুধ দিচ্ছে পরী। মায়ের সঙ্গেই রয়েছে শাবকগুলো।

প্রসঙ্গত, চিড়িয়াখানায় জন্ম নেয়া বাঘিনী ‘জয়া’ ২০২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর দুটি বাঘ শাবকের জন্ম দেয়। তখন তা নিয়ে বাঘের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল এক ডজনে। যার মধ্যে দুটি বাঘ আর অন্যগুলো বাঘিনী। এর আগের বছর ১৪ নবেম্বর ‘জয়া’ প্রথম শাবকের জন্ম দিয়েছিল। যেটির নাম রাখা হয়েছে ‘জো-বাইডেন’।

প্রাণী চিকিৎসক ও প্রাণী বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রাণী সচরাচর যে রঙের হয় তার চেয়ে ভিন্ন রঙের হলে তা এলবিনো হিসেবে পরিচিত।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন