এমন প্রতারণার ঘটনায় সর্বস্ব হারিয়েছেন অনেকে, আবার কেউ প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকার মালিকও হয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, ওই তরুণী একসঙ্গে ২০ জন প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিলেন। প্রত্যেক প্রেমিকের কাছ থেকে একটি করে আইফোন উপহার নিয়েছিলেন তরুণী।
সব ফোন হাতে পাওয়ার পর ওই তরুণী সেগুলো বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
একটি পুনর্বিক্রয় সংস্থার কাছে ওই আইফোনগুলো বিক্রি করেছিলেন তরুণী। তবে সেই বিপুল টাকা অন্য কোথাও খরচ না করে বাড়ি কেনার ‘ডাউন পেমেন্ট’ হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন তরুণী।
অজ্ঞাতপরিচয় ওই নারী চীনের শেনজেন শহরে এক সংস্থায় স্বল্প বেতনের বিনিময়ে জুনিয়র ক্লার্ক হিসেবে চাকরি করতেন।যদিও প্রাথমিকভাবে বিষয়টি তরুণীর কোনো প্রেমিকই বুঝতে পারেননি। তবে কয়েক মাসের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ফ্ল্যাট কেনার খবর প্রকাশ করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন তরুণী। কিভাবে আচমকা এত টাকা তার কাছে এলো, বুঝতে অসুবিধা হয়নি কারো।
পরবর্তীতে তরুণীর সহকর্মীরা জানতে পারেন, মাত্র ৬ মাসে তিনি একইসঙ্গে ২০ জন পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন। তাদের থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া আইফোন বিক্রি করেই ফ্ল্যাটের টাকা জোগাড় করেছিলেন তিনি।
জানা যায়, বৈদ্যুতিক সামগ্রী বিক্রির একটি অনলাইন প্ল্যাটফরমে কর্মরত এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমের কাছে তরুণীর যাবতীয় কুকীর্তি ফাঁস করে দেন। আর এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে তরুণীর বুদ্ধিমত্তা ও সাহসের প্রশংসা করেছেন। আবার এই ঘটনাকে প্রতারণা ও অনৈতিকতার উদাহরণ বলে তীব্র সমালোচনা করেছেন সমালোচকদের একাংশ। যদিও তরুণীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। একইসঙ্গে এই প্রতারণার জেরে ওই নারীর কোনো সাজাপ্রাপ্তির খবরও পাওয়া যায়নি।