আগামী মৌসুমে লামিনে ইয়ামালই পরবেন বার্সার আইকনিক ১০ নম্বর জার্সি। গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ইয়ামালকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় তার নাম লেখা ১০ নম্বর জার্সিটি। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর থেকেই ইয়ামালের নাম লেখা ১০ নম্বর জার্সি নিয়ে শুরু হয়েছে উন্মাদনা। এমনকি বাজারে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জার্সিটির হাজার হাজার ‘রেপ্লিকা’ বিক্রি হয়ে গেছে।
বার্সেলোনা ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম কিউলম্যানিয়া জানিয়েছে, ইয়ামালের ১০ নম্বর জার্সির বিক্রি প্রথম দিনেই প্রত্যাশার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। প্রথম দিন জার্সিটি বিক্রি হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার ইউনিট। জার্সি বিক্রির এমন অভূতপূর্ব সাফল্যে বার্সা কর্তৃপক্ষ বেশ আনন্দিত বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
এমন উচ্চহারে জার্সি বিক্রি বার্সার পণ্য বিক্রির আয়কেও ইতিহাসের সেরা পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টিকে এখন নেটিজেনরা ‘লামিনেম্যানিয়া’ বলেও ডাকতে শুরু করেছেন। তবে উচ্চহারে বিক্রির পরও এই মুহূর্তে জার্সির স্টক শেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে। উন্মাদনা আঁচ করতে পেরে আগে থেকেই যথেষ্ট পরিমাণে জার্সি তৈরি করে রেখেছিল সংশ্লিষ্টরা। বরং সমর্থকদের ব্যাপক আগ্রহের কারণে এখন হয়তো স্টক আরও বাড়াতে পারে ক্লাবটি।
শুধু স্পেন বা বার্সেলোনাতেই নয়, বিদেশেও এই জার্সি বেশ দ্রুত বিক্রি হচ্ছে। নাইকি এরই মধ্যে বিশ্বের ১৭০টি দেশে ৩০টি প্যালেট পাঠিয়েছে। প্রতিটি প্যালেটে জার্সি থাকে ২ হাজার ৩০০টি করে। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে প্রায় ৭০ হাজার জার্সির বিতরণ সম্পন্ন করা হয়েছে।
এখানেই অবশ্য শেষ নয়, এই সংখ্যা আগামী কয়েক দিনে আরও বাড়বে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৫-২৬ মৌসুমেই ভেঙে যেতে পারে বার্সেলোনা লাইসেন্সিং অ্যান্ড মার্কেটিংয়ের (বিএলএম) বার্ষিক আয়ের রেকর্ড। ২০২৪–২৫ মৌসুমে এ খাতে বার্সেলোনার আয় ছিল রেকর্ড ১৪ থেকে ১৫ কোটি ইউরো। সেখানে এবার শুধু ইয়ামালের জার্সি বিক্রি থেকেই প্রথম দিন শেষে আনুমানিক আয় প্রায় ১ কোটি ইউরো (১০ মিলিয়ন)।
বার্সেলোনা বর্তমানে তিন ধরনের জার্সি বিক্রি করছে, যেগুলো কাপড়ের মানসহ বিভিন্ন দিক থেকে আলাদা। প্রথম তথা সাধারণ জার্সির দাম ১১৪.৯৯ ইউরো, দ্বিতীয় বা মাঝামাঝি ধরনের জার্সির দাম ১৩৪.৯৯ ইউরো এবং সর্বশেষ প্রিমিয়াম জার্সি, যেগুলো মূলত খেলোয়াড়েরা পরে থাকেন, সেগুলোর দাম ১৮৪.৯৯ ইউরো।
এই তিন ধরনের অফিশিয়াল জার্সির গড় মূল্য প্রায় ১৪৫ ইউরো। আর এই হিসাব ধরেই ১ কোটি ইউরো (১০ মিলিয়ন) আয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যদিও বাস্তবে এই অঙ্ক কিছুটা কমও হতে পারে। কারণ মাঝারি বা প্রিমিয়ামের চেয়ে সাধারণত প্রথম ধরনের মডেলই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়।