মেসি তো জাতীয় দলে আমার দ্বিগুণ গোল করে ফেলেছে (আর্জেন্টিনার জার্সিতে সর্বোচ্চ ৯১ গোল মেসির, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৬টি বাতিস্তুতার)! আশা করছি, বিশ্বকাপেও আমার ১০ গোলের রেকর্ড ভাঙবে মেসি। বিশ্বকাপের আগে ও খুব ভালো ছন্দে আছে। মেসির মানের খেলোয়াড়ের মাত্র ছটি বিশ্বকাপ গোল বেমানান।
বিশ্বকাপ নিয়ে আফসোস আছে আমার।
মাত্র ১২টি ম্যাচ খেলতে পেরেছি। সেটা ১৬, ১৭ বা ১৮ ম্যাচ হলে ভালো হতো। দারুণ সব খেলোয়াড় নিয়ে সেমিফাইনাল বা ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছাতে না পারাটা কষ্ট দেয় এখনো। ’৯৪ বিশ্বকাপে আমরা দ্বিতীয় রাউন্ডে ছিটকে যাই। পরেরবার খেলি কোয়ার্টার ফাইনাল। সেবার কিন্তু অন্তত সেমিফাইনাল খেলার দাবিদার ছিলাম আমরা। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৮৯ মিনিট পর্যন্ত ১-১ গোলের সমতা ছিল। একেবারে শেষ মিনিটে ডেনিস বার্গক্যাম্পের গোলটা ছিল বজ্রপাতের মতো।
আর ২০০২ সালে তো গ্রুপ পর্বই পার হতে পারলাম না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এবারের দলটা এমন হতাশ করবে না। আর সবার মতো মেসির হাতে একটা শিরোপা দেখতে চাই আমিও। একসময় বলা হতো মেসি শুধু ক্লাবের খেলোয়াড়। এখন সেটা বদলেছে। যারা বলে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক হিসেবে মেসি আত্মবিশ্বাসী নয়, তারা নির্বোধ।এবারের আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতার মতোই দল। তবে বাস্তবতা হচ্ছে সবাই খুব ক্লান্ত। বিশ্বকাপ এমন সময়ে হচ্ছে যখন ক্লান্তি ভর করেছে সবার মধ্যে। মেসিও দলের অনুশীলনে পুরোটা সময় থাকতে পারেনি। নির্ভরযোগ্য কয়েকজন ইনজুরির জন্য ছিটকেই গেল। ২৬ জনের দলে থেকেও বিশ্বকাপ খেলতে না পারার মতো হতাশার আর কী হতে পারে। তবে ক্লান্তি শুধু আর্জেন্টিনার জন্য নয়, বাকি দলগুলোরও একই অবস্থা। এখন আপনাকে যদি একটা জায়গায় যেতে হয় আর মাথাব্যথা থাকে, তাহলে কি যাবেন না? অবশ্যই যেতে হবে।
আমি চোট নিয়ে অনেক ম্যাচ খেলেছি। ব্যথায় ভুগেছি খেলা ছাড়ার অনেক দিন পর্যন্ত। আমার মতে ক্লান্ত হলেও আর্জেন্টিনার এই দলটা ভয়ংকর। কোপা আমেরিকা জেতার আত্মবিশ্বাস নিয়ে ওরা খেলতে গেছে বিশ্বকাপে। এটা আত্মবিশ্বাস জোগাবে নিশ্চিতভাবে।
বর্তমান প্রজন্মের অনেক ফরোয়ার্ডই আমার পছন্দের। এদের মধ্যে এগিয়ে রাখব করিম বেনজিমাকে। শেষ বয়সে এসে বেনজিমা যেভাবে নিজেকে মেলে ধরেছে, খুব কম জনই পারে এটা। ইনজুরির জন্য ওর খেলতে না পারাটা পুরো বিশ্বকাপের জন্যই হতাশার।
-ওলে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা: আর্জেন্টিনার সাবেক ফুটবলার