অবশেষে সব গুঞ্জনের ইতি টেনে আর্সেনালের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন ভিক্তর ইয়োকেরেশ। চলতি গ্রীষ্মের দলবদলে বহু আলোচনার পর এই সুইডিশ স্ট্রাইকারকে দলে ভেড়াতে সফল হলো মিকেল আর্তেতার দল।
২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে দলে টানতে আর্সেনালকে গুনতে হয়েছে বড় অঙ্কের অর্থ। যদিও ক্লাবটি অর্থের বিষয়টি প্রকাশ করেনি, তবে ইংলিশ ও পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, স্পোর্তিং সিপি থেকে ইয়োকেরেশকে দলে নিতে আর্সেনালের খরচ হয়েছে প্রায় ৬ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড। এর সঙ্গে রয়েছে পারফরম্যান্সভিত্তিক অতিরিক্ত ১ কোটি পাউন্ডের সংযুক্তি।
চলতি দলবদলে এ নিয়ে পঞ্চম ফুটবলারকে দলে ভেড়াল আর্সেনাল। তবে আর্তেতার মূল লক্ষ্য ছিলেন একজন গোলস্কোরার স্ট্রাইকার, সেই জায়গায় ইয়োকেরেশ ছিলেন তার প্রথম পছন্দ। গত মৌসুমে চোট ও ফর্মহীনতায় জর্জরিত ফরোয়ার্ড লাইনে ভুগতে হয়েছিল আর্সেনালকে। একপর্যায়ে মিডফিল্ডার মিকেল মেরিনোকেও খেলাতে হয়েছিল আক্রমণের নেতৃত্বে।
সেই ঘাটতি মেটাতেই আনা হয়েছে ইয়োকেরেশকে। গত মৌসুমে তিনি স্পোর্তিংয়ের হয়ে ছিলেন রীতিমতো গোলমেশিন। লিগ, কাপ ও ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫২ ম্যাচে করেছেন ৫৪ গোল। শুধু পর্তুগিজ লিগেই তার গোলসংখ্যা ৩৯টি। দুই মৌসুমে ক্লাবটির হয়ে ১০২ ম্যাচে করেছেন ৯৭ গোল, সঙ্গে ছিল ২৮টি অ্যাসিস্ট। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছিলেন তিনি।
নতুন শিষ্যকে নিয়ে রোমাঞ্চিত আর্সেনাল কোচ আর্তেতা। ইয়োকেরেশের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘ভিক্তর একজন অসাধারণ গোলস্কোরার। তার পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে সে কী দিতে পারে। গোলমুখে তার উপস্থিতি, বুদ্ধিদীপ্ত দৌড় এবং সুযোগ কাজে লাগানোর দক্ষতা দারুণভাবে মানিয়ে যাবে আমাদের দলের সঙ্গে। ’
আরও বলেন, ‘আমরা দারুণভাবে রোমাঞ্চিত ভিক্তরকে পেয়ে। তার সঙ্গে কাজ শুরুর অপেক্ষায় আছি। সে আমাদের আক্রমণভাগে নতুন মাত্রা যোগ করবে। ’
ইয়োকেরেশের জন্যও এটা যেন ইংলিশ ফুটবলে ফিরে আসা। ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিওনে যোগ দিয়েই তার ইউরোপ যাত্রা শুরু। এরপর ধারে খেলেছেন সোয়ানসি ও কভেন্ট্রিতে। পরে পাড়ি দেন পর্তুগালের স্পোর্তিংয়ে। সেখান থেকেই এবার উত্তর লন্ডনের পথে। আর্সেনালে তিনি গায়ে চাপাবেন ক্লাবের ঐতিহ্যবাহী ১৪ নম্বর জার্সি।