নাসিম রুমি: লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেস ও জর্দি আলবার যুগল বন্দিতে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে গিয়ে ভালো কিছুর আভাসই দিয়েছিল ইন্টার মায়ামি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ২০ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড স্বাগতিক শিবির। ফ্লোরিডার দলকে বিদায় করে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের ফাইনালে উঠে গেল ভ্যানকোভার হোয়াইটক্যাপস।
ফ্লোরিডার চেস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মায়ামিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ভ্যানকোভার। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ গোলের অগ্রগমিতায় ফাইনালে উঠল কানাডার দলটি।
ম্যাচে ৫৪ শতাংশ বলের দখল রেখে লক্ষ্যে ৭টি শট নিয়েও একবারের বেশি জালের দেখা পায়নি প্রথম লেগে ২-০ গোলে হেরে আসা মায়ামি। বিপরীতে লক্ষ্যে রাখা ৬টি শটের তিনটি থেকেই গোল আদায় করে নেয় ভ্যানকোভার।
ম্যাচের নবম মিনিটেই ডি বক্সে দারুণ পাস দেন মেসি। সুয়ারেস সেই পাস ধরে বাড়ান বা প্রান্তে আলবার কাছে। জোরালো শটে দারুণ গোলে মায়ামিকে এগিয়ে নেন আলবা। দুই লেগ মিলিয়ে তখন ২-১ গোলে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। আর এক গোল করতে পারলেই তখন ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নেওয়ার সুযোগ ছিল তাদের সামনে।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ৫১ থেকে ৭১- এই ২০ মিনিটের ঝড়ে উল্টো ৩ গোল হজম করে হাভিয়ের মাসচেরানোর দল।
ব্রাইন হোয়াইট সমতা টানার দুই মিনিটের মাথায় ভ্যানকোভারকে এগিয়ে নেন পেদ্রো ভিতে। দুটি গোলেই সহকারীর ভূমিকায় ছিলেন সেবাস্তিয়ান ব্রেল্টার। পরে নিজে স্কোরশিটে নাম লিখিয়ে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন তিনি।
মেসি বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি। উত্তর আমেরিকার ফুটবল পরিসংখ্যান বিষয়ক এক্স হ্যান্ডল অপ্টা জ্যাক জানিয়েছে, লিওনেল মেসির বিপক্ষে প্রথম দল হিসেবে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই জিতল ভ্যানকোভার।।