English

27 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৩, ২০২৪
- Advertisement -

ওমিক্রন ও সাধারণ ঠাণ্ডার মধ্যে পার্থক্য

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

করোনাভাইরাস প্রথমে আমাদের ফুসফুসকে সংক্রামিত করে, যার ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এর লক্ষণগুলো দেখলে প্রাথমিক পর্যায়ে বোঝা কঠিন হয়ে দাঁড়ায় যে, সাধারণ ফ্লু নাকি করোনা। তবে বেশকিছু বিষয় আছে যার মাধ্যমে করোনার সাথে সাধারণ ঠাণ্ডার পার্থক্য করা সম্ভব। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে নতুন ভ্যারিয়েন্টের সাথে সাধারণ সর্দির উপসর্গের অনেক মিল।

ওমিক্রন ও সাধারণ ফ্লু কীভাবে আলাদা করবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক।

কেন ওমিক্রন সাধারণ ঠাণ্ডা কাশির মতো:গত আড়াই বছরে পরিবেশগত এবং অন্যান্য কারণে করোনার ধরণে বেশি কয়েকবার পরিবর্তন এসেছে। গবেষকরা বলছেন, মিউটেশনের সময়, নতুন রূপটি সাধারণ সর্দি থেকে জেনেটিক উপাদানের স্নিপেট অর্জন করেছিল। তার অর্থ ওমিক্রনের ভিতরে সাধারণ ঠান্ডার একটি জেনেটিক কোড আছে। এই কারণে, ওমিক্রনের উপসর্গ সাধারণ ঠাণ্ডার মতো।

বিশেষজ্ঞরা যা বলেছেন:

রয়টার্সে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ম্যাসাচুসেটস-ভিত্তিক ডেটা অ্যানালিটিক্স ফার্ম নেফারেন্সে কর্মরত ভেঙ্কি সৌন্দররাজন একটি গবেষণার নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেন, সর্দি-কাশির সামান্য উপস্থিতি যা ওমিক্রনকে আরও সংক্রমণযোগ্য করে তোলে এবং একটি হালকা লক্ষণ সৃষ্টি করে।

এমনকি একটি সাম্প্রতিক ইউকে-ভিত্তিক অ্যাপ গবেষণায় দেখা গেছে যে ওমিক্রন হালকা ঠান্ডার মতো উপসর্গের মতো যা বিশেষ করে শীতকালে শনাক্ত করা কঠিন । গবেষকরা বলেছেন যে করোনার আগের রূপের তুলনায়, ওমিক্রনের লক্ষণগুলো সাধারণ সর্দি-কাশির মতো । নাক দিয়ে পানি পড়া, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, গলা ব্যাথা এই ধরনের চারটি মোটামুটি সাধারণ লক্ষণ। ঠাণ্ডা লাগা এবং জ্বর, গন্ধ এবং স্বাদ হারানো আগের ধরণগুলোর লক্ষণ।

করোনা এবং সাধারণ ঠান্ডার মধ্যে পার্থক্য:

সাধারণ সর্দি এবং করোনাভাইরাসের উপসর্গ একই রকম হলেও দুটি অবস্থা এক নয়। যদিও দুটোই ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট। যদিও সাধারণ সর্দি রাইনোভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট আর করোনা সার্স কভ টু এর মাধ্যমে। দুটি ভাইরাস একটি অন্যটির থেকে আলাদা।

ওমিক্রন কি সাধারণ সর্দির চেয়ে বেশি বিপজ্জনক?

মূল কারণগুলি ছাড়াও, সাধারণ সর্দি এবং করোনাভাইরাসের তীব্রতার বিভিন্ন স্তর রয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ একটি সাধারণ সর্দি-কাশির তুলনায় অনেক বেশি গুরুতর এবং এতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া লাগতে পারে এবং এমনকি দীর্ঘমেয়াদী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতে পারে, যা সাধারণ সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে হয় না। সাধারণ সর্দি-কাশিতে ভুগছেন এমন লোকেরা সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যায়। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে, প্রাথমিক সংক্রমণের পরে কয়েক মাস পরেও এর লক্ষণগুলো থেকে যেতে পারে। এমনকি হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

উপায়:

যদিও ওমিক্রন হালকা ঠান্ডা উপসর্গের মতো কিন্তুএটিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। করোনাভাইরাস থেকে ঠাণ্ডা সহ অনেক অঙ্গ প্রভাবিত হতে পারে। এজন্য টিকা নেওয়ার বিকল্প নেই এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন