English

29.5 C
Dhaka
শুক্রবার, জুলাই ১১, ২০২৫
- Advertisement -

করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন নির্দেশনা

- Advertisements -

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি দেশেও ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। ভয়ের কারণ হলো ভাইরাসটির নতুন নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংক্রমণ ঠেকাতে বন্দরে নজরদারি জোরদারের পাশাপাশি জনসাধারণের উদ্দেশে কিছু পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আজ বুধবার দুপুরে বর্তমানে দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর এসব নির্দেশনা পড়ে শোনান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দেশে এখন পর্যাপ্ত করোনা আরটি পিসিআর কিট ও র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট রয়েছে। যেহেতু থাইল্যান্ড, মালেশিয়া, ভারতসহ বেশ কিছু দেশে করোনা শনাক্ত হচ্ছে তাই খুব দ্রুত এই কিটগুলো বিভিন্ন হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভাইরাসজনিত সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা ভাইরাসের কয়েকটি নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট ইতিমধ্যে চিহ্নিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার প্রতিরোধে দেশের সকল স্থল/নৌ/বিমান বন্দরের আইএইচআর ডেস্কসমূহে নজরদারি এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়গুলো জোরদার করার বিষয়ে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘টিকার কিট ইতোমধ্যে আমরা সংগ্রহ করেছি। যেখানে আর্টিফিশিয়ালি হয় সেখানে এখনো পরীক্ষা হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। এ জন্য যথেষ্ট সংখ্যক কিট আমরা সংগ্রহ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে ২৮ হাজার র‌্যাপিড এন্ডিজেন্ট কিট এসেছে। আরও ১০ হাজার আর্টিফিশিয়াল এন্টিজেন্ট ও কিট আজকের মধ্যেই আমরা পাবো। ইতোমধ্যে আমরা অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছি, আশা করছি কিটের কোনো সমস্যা হবে না।’

প্রাথমিকভাবে সব রোগীদের করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সব ধরনের রোগীর করোনা পরীক্ষার কোনো প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র যাদের জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট বা অন্যান্য উপসর্গ রয়েছে এবং যারা জটিল অবস্থায় রয়েছে, তারাই করোনা পরীক্ষা করাবে। চিকিৎসকেরাও সেই অনুযায়ী পরামর্শ দেবেন।’

এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে নিম্নলিখিত নির্দেশনা ও করণীয়সমূহ মেনে চালার জন্য বলা হয়েছে।

সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসাধারণের করণীয়:

১. জনসমাগম যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন এবং উপস্থিত হতেই হলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন।

২. শ্বাসতন্ত্রের রোগ সমূহ হতে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।

৩. হাঁচি/কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন।

৪. ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনা যুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন।

৫. ঘনঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।

৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন না।

৭. আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।

সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়:

১. জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন।

২. রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন।

৩. রোগীর সেবাদানকারীগনও সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করুন।

৪. প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে অথবা আইইডিসিআর (০১৪০১-১৯৬২৯৩) অথবা স্বাস্থ্য বাতায়ন (১৬২৬৩) এর নাম্বারে যোগাযোগ করুন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রস্তুতি:

করোনা ভাইরাস নির্নয়ের পরীক্ষা (rt-PCR, Rapid Antigen Test), টিকা (Vaccine), চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা (Management Guideline), ওষুধ (Medicines), অক্সিজেন (Medical grade Oxygen), প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (High-Flow Nasal Canula, Ventilator), আইসিইউ (ICU and HDU), কোভিড চিকিৎসার বিশেষায়িত সুবিধাসম্বলিত নির্দিষ্ট হাসপাতাল (COVID Dedicated Hospital), সেবাদানকারীদের জন্যে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাসামগ্রী (KN95 Mask, PPE, Face Shield etc.) ইত্যাদিসহ COVID 19 সংক্রান্ত সকল বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রস্তুতি চলমান আছে।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/jaf6
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন