গ্রীষ্মে পেট ফাঁপা এবং ডায়রিয়া শিশুদের সাধারণ সমস্যা। এই সময় খাদ্যাভাসে সামান্যতম ব্যাঘাত ঘটলে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে যে শিশুরা প্রচুর বাইরের খাবার খায় তারাই বেশি এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়। অনেক সময় প্রচণ্ড গরমে পানি কম পান করার কারণে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে তার খাওয়া-দাওয়ার প্রতি বিশেষ যত্ন নিন। কারণ এই সমস্যাগুলি শিশুর শরীরকে অত্যন্ত দুর্বল করে তোলে। বমি ও ডায়রিয়ার সময় শিশুকে এমন খাবার খাওয়ানো উচিত, যাতে সে খুব বেশি দুর্বল না হয় এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।
শিশুকে কী খাওয়াবেন?
দুগ্ধজাত খাবার কম দিন: শিশুর বমি ও ডায়রিয়া হলে দুধের তৈরি খাবার কম খাওয়ান। বিশেষ করে খালি পেটে দুধ বা দই খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
হালকা খাবার খাওয়ান : যখন শিশুর পেট খারাপ থাকে অর্থাৎ ডায়রিয়া হয় এবং বমিও হয়, তখন হালকা খাবার খাওয়ান। একবারে খুব বেশি খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন। অল্প অল্প করে খাবার খাওয়ান যা সহজে হজম হয়। শুধুমাত্র বাড়িতে রান্না করা খাবার খাওয়ান। নরম ভাত খাওয়াতে পারেন। মুগ ডালের খিচুড়িও দিতে পারেন।
পর্যাপ্ত পানি পান করান : বমি ও ডায়রিয়ায় শরীর দুর্বল হয়ে যায়। এ সময় শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়, তাই শিশুকে পর্যাপ্ত পানি পান করাতে থাকুন। শিশুকে পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা করতে স্যালাইন খেতে দিন। ঘরে তৈরি স্যালাইনও দিতে পারেন। ডাবের পানি খাওয়ান।
খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো: ডায়রিয়া ও বমি হলে শিশুর খাদ্যতালিকায় ভাত, মুগ ডালের খিচুড়ি, ওটমিল, দই, রুটি, সিদ্ধ আলু খাওয়াতে পারেন। এ সময় শিশুকে দই খাওয়ান। দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক পাকস্থলীর ভালো ও খারাপ ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
কলা খাওয়ান: শিশুর ডায়রিয়া হলে তাকে পাকা কলা খাওয়াতে পারেন। এটি শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে। তবে বমি ও ডায়রিয়া কমে গেলেই কলা খাওয়াতে হবে। এ সময় ভুল করেও আম খাওয়াবেন না।
অন্যান্য প্রতিরোধ টিপস:
সূর্যের তেজ বেশি থাকলে এবং শরীর থেকে প্রচুর ঘাম বের হলে শিশুদের আইসক্রিম খাওয়ানো এড়িয়ে চলুন। কড়া রোদে শিশুদের বাইরে খেলতে দেবেন না। শিশুদের প্রচুর পানীয় এবং তরল খাবার দিন। বাইরের খাবার ও জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে রাখুন। যতটা সম্ভব তাদের ফল এবং সবজি খাওয়ান।