দ্রুতগতির আধুনিক জীবনে শুধু শরীর নয়, মস্তিষ্কের যত্ন নেওয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, মনোযোগের অভাব কিংবা অ্যালজাইমারের মতো রোগ এখন কম বয়সেই দেখা দিচ্ছে।
হার্ভার্ড হেলথ অনুযায়ী, মস্তিষ্কে রয়েছে নিউরোপ্লাস্টিসিটির ক্ষমতা, অভিজ্ঞতা ও অভ্যাসের ভিত্তিতে নতুন করে নিজেকে তৈরি করার সামর্থ্য।
মিশিগান নিউরোসার্জারি ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ নিউরোসার্জন ড. জে জগন্নাথন জানিয়েছেন, প্রতিদিন মাত্র পাঁচটি অভ্যাস নিয়মিতভাবে পালন করলেই মস্তিষ্কের ক্ষমতা ও কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে।
নিয়ম মেনে ঘুম
ড. জে-এর মতে, ঘুমের পরিমাণের চেয়ে বেশি জরুরি ঘুমানোর নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলা। প্রতিদিন অন্তত ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম এবং একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও জাগার অভ্যাস মস্তিষ্ককে যথাযথ বিশ্রাম নিয়ে পুনরুজ্জীবিত হতে সাহায্য করে।
স্ট্রেন্থ ট্রেনিং করতে হবে
যদিও এটি শারীরিক ব্যায়াম, তবুও মস্তিষ্কের সক্ষমতা বজায় রাখার ক্ষেত্রেও কার্যকর। সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ দিন হালকা স্ট্রেন্থ ট্রেনিং করলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়, সহনশীলতা বাড়ে এবং তা মস্তিষ্কের পারফরম্যান্সেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ধ্যান বা মেডিটেশন
শরীর ও মস্তিষ্ক পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত। ধ্যান বা যোগা সেই সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করে। এটি সারা দিনের চাপ কমিয়ে নার্ভাস সিস্টেমকে শান্ত করে, যা মস্তিষ্ককে পরিষ্কারভাবে কাজ করতে সহায়তা করে।
বার্নআউট থেকে দূরে থাকতে হবে
নিয়মিতভাবে শারীরিক-মানসিকভাবে চরম ক্লান্তির পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়া মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর।
বার্নআউটের ফলে চিন্তা, বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। তাই মানসিক স্বচ্ছতা এবং মস্তিষ্ক সচল রাখতে এই চক্র থেকে বের হয়ে আসা জরুরি।
‘হিরো লাইফস্টাইল’ এড়িয়ে চলা
ড. জে সতর্ক করেছেন—ক্লান্তি সত্ত্বেও বিশ্রাম না নিয়ে নিজেকে সবসময় উৎপাদনশীল প্রমাণ করার প্রবণতা মস্তিষ্কের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি ডেকে আনে। তার মতে, স্মার্টভাবে কাজ করা, বিশ্রাম নেওয়া এবং মস্তিষ্ককে রিচার্জ করার সময় দেওয়াই প্রকৃত প্রোডাকটিভিটি।
